পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজি বইখানাতে শুধু ছবি দেখে ! দূর দেশের কথা ও সকল রকম মহত্বের কাহিনী খুব ছেলেবেলা হইতেই তাহার মনকে বড দোলা দেয়, এই বইখানাতে সেই ধরণের অনেকগুলি গল্প আছে। কোথাকার মুক্তপ্রান্তরে একজন ভ্রমণকারী বিষম তুষার ঝটিকার মধ্যে পথ হারাইয়া চক্রাকারে ঘুরিতে ঘুরিতে শীতে প্রাণ হারায়, অজানা মহাসমুদ্রে পাড়ি দিয়া ক্রিষ্টোফার কলম্বস কিরূপে আমেরিকা আবিষ্কার করিলেন-এমনি সব গল্প। যে দু'টি ইংরাজ বালক-বালিকা সমুদ্রতীরেব শৈলগাত্রে গাঙচিলের বাসা হইতে ডিম সংগ্রহ করিতে গিয়া বিপদগ্রস্ত হইয়াছিল, সে সাহসিনী বালিকা প্রাসকোভিয়া লপুলফ নির্বাসিত পিতার নির্বাসনদণ্ড প্রত্যাহার করিবার আশায় জনহীন তুষারাবৃত প্রান্তরের পথে সুদূর সাইবেরিয়া হইতে এক বাহিব হইয়াছিল- তাহদের যেন সে দেখিলেই চিনিতে পারে । স্যার ফিলিপ সিডনীর ছোট গল্পটুকু পডিয়া তাহার চোখ দু'টি জলে ভরিয়া যায়। সুরেশকে গিয়া জিজ্ঞাসা করে-সুরেশ দা, গল্পটা জান তুমি ? বড় ক’রে বলো না ? সুবেশ বলে-ও, জুট্ৰ'ফেনের যুদ্ধের কথা ! অপু অবাক হইয়া বলে-কি সুরেশ দা ? জুটফেন ! কোথায় সে ? সুরেশ ঐটুকুর বেশী আর বলিতে পারে না ?-- মাসখানেক পরে একদিন । মাছ ধরিতে গিয়া একটা বড় সৰ্বপুটি মাছ কি করিয়া তাহার ছিপে छशि 6शल । লোভ পাইয়া সে জায়গাটা আর অপু ছাড়ে না-গাছের ডালপালা ভাঙিয়া আনিয়া বিছাইয়া বাস । ক্রমে বেলা যায়, নদীর ধারের মাঠে আবার সেই অপূর্ব নীরবতা, ওপারের দেয়াডির মাঠের পারে সুদূরপ্রসারী সবুজ উলুবনে, কাশ-ঝোপে, কদম-শিমূল গাছের মাথায় আবার তাহার শৈশব পুলকের শুভমুহুর্তেব অতি পরিচিত, পুরাতন সাখী-বৈকালের মিলাইয়া যাওয়া শেষ রোদ । বঙ্গবাসীতে ‘বিলাত যাত্রীর চিঠি’র মধ্যে পড়া সেই সুন্দর গল্পটি তাহার মনে পড়ে । 羽 সে জুৱেশদাদার ইংরাজি মাপে ভূমধ্যসাগর কোথায় দেখিয়াছে তারই