ওপারে ফ্রান্স দেশ সে জানে। কতকাল আগে ফ্রান্স দেশের বুকে তখন বৈদেশিক সৈন্যবাহিনী চাপিয়া বসিয়াছে, দেশ বিপন্ন, রাজা শক্তিহীন, চারিদিকে অরাজকতা, লুঠতরাজ ! জাতির এই ঘোর অপমানের দিনে, লোরেন। প্রদেশের অন্তঃপাতী এক ক্ষুদ্র গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক-দুহিতা পিতার মেষপাল চরাইতে যায়, আর মেষের দলকে ইতস্ততঃ ছাড়িয়া দিয়া নিভৃত পঞ্জীপ্রান্তরের তৃণভূমির উপর বসিয়া সুনীল নয়ন দু'টি আকাশ পানে তুলিয়া নির্জনে দেশের দুৰ্দশা চিন্তা করে। দিনের পর দিন এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে তাহার নিষ্পাপ। কুমারী মনে উদয় হইল, কে তাহাকে বলিতেছে—তুমি ফ্রান্সের রক্ষাকত্রী, তুমি গিয়া রাজসৈন্য জড়ো কর, অস্ত্র ধর, দেশের জাতির পরিত্রাণের ভার তোমার হাতে! দেবী মেরী তাহার উৎসাহদান্ত্রী-দূর স্বৰ্গ হইতে র্তাহার আহবান আসে দিনের পর দিন। তারপর নব্বতেজদৃপ্ত ফরাসী সৈন্যবাহিনী কি করিয়া শক্রদলকে দেশ হইতে তাড়াইয়া দিল, কি করিয়া ভাবময়ী কুমারী নিজে অস্ত্র ধরিয়া দেশের রাজাকে সিংহাসনে বসাইলেন, তারপর অজ্ঞানান্ধ লোকে কি করিয়া তাহাকে ডাইনী অপবাদে জীবন্ত পুড়াইয়া মারিল এ সকল কথাই সে আজ পড়িয়াছে। এই বৈকাল বেলাটাতে, এই শান্ত নদীর ধারে গল্পটা ভাবিতে ভাবিতে কি অপূর্ব ভাবেই তাহার মন পুর্ণ হইয়া যায়।-কুমারীর যুদ্ধের কথা, জয়ের কথা, অন্য সব কথা সে তত ভাবে না । কিন্তু যে ছবিটি তার বার বার মনে আসে। তাহা শুধু নির্জন প্রান্তরে চিন্তারতা বালিকা আর চারিধারে যদৃচ্ছবিচরণশীল মেষদল, নিয়ে শ্যাম তৃণভূমি, মাথার উপর মুক্ত নীল আকাশ। একদিকে দুর্ধর্ষ বৈদেশিক শত্রু, নিষ্ঠুরতা, জয়লালসার দৰ্প, রক্তস্রোত,-অপর দিকে এক সরলা, দিব্য ভাবময়ী, নীলনয়না পল্লীবালিকা। ছবিটি তাহার প্রবর্ধমান বালকমনকে মুগ্ধ করিয়া দেয়। আরও ছবি মনে আসে ! কতদূরে নীল সমুদ্রে ঘেরা মাটিনিক দ্বীপ। চারিদিকে আখের ক্ষেত, মাথার উপর নীল আকাশ-বহু-বহু দূর-শুধু নীল আকাশ আর নীল সবুজ। শুধু নীল আর নীল। আরও কত কি, তাহা बूशiप्ना बांश मा-दल बांध म। ছিপ গুটিাইয়া সে বাড়ীর দিকে যাইবার যোগাড় করে। নদীর ধারে ধারে নতশীর্ষ বাবলা ও সাইবাবলার বন নদীর স্নিগ্ধ কালো জলে ফুলের ভার DD BBBLLY SS BBBD DDu DBD LBD DBuD DBDDB প্রকাণ্ড রক্তবর্ণ সূর্য হেলিয়া পড়িয়াছে’-যেন কোন দেবশিশু আলকার জলন্ত BBDB BDD BDD DDDBD YS BD DBSL BDD LDBDB BBDBB
