পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালার ফঁাকে আলো হইয়া উঠিয়াছে।-অমনি কেমন করিয়া তাহার মনে হইল। আগামী মাসের এমন দিনটাতে তাহারা, কোথায় কতদূরে চলিয়া যাইবে । পরে গুলা কীকে বলিল-আর আসিস নে খুকী, তুই চলে যা-অনেকদূরে এসে গিাইচিস-তোর বাড়ীতে হয়তো আবার বকৃবে-চলে যা খুকী-আবার এলে দেখা হবে, কেমন তো ? হয়তো আর আসবো না, আমরা কাশী চলে যাবে। বোশেখ মাসে, সেখানে বাস করবো- ৷ গুলা কী একবার ফিকৃ করিয়া হাসিল । সেদিন পুণিমা কি চতুর্দশী এমনি একটা তিথি। সে এদিকে আর কখনও আসে নাই, কিন্তু বাল্যের এই এক প্রথম বিদেশ-গমন-সম্পর্কিত একটা ছবি অনেক দিন পর্যন্ত তাহার মনে ছিল-সোজা মাঠের পথের দূর-প্রান্তে গাছপালার ফঁাকে পূর্ণচন্দ্র উঠতেছে, ( বা চতুর্দশীর চন্দ্র, তাহার ঠিক মনে ছিল না।) পিছনে পিছনে অল্পদিনের পরিচিত, অনাথা, অবোধ, ঝাঁকড়াচুল ছোট একটি মেয়ে তাহাকে আগাইয়া দিতে আসিয়াছে। পথের পাঁচালী অষ্টবিংশ পরিচ্ছেদ বৈশাখ মাসের প্রথমে হরিহর নিশ্চিন্দিপুর হইতে বাস উঠাইবার সব ঠিক করিয়া ফেলিল। সে জিনিসপত্র সঙ্গে করিয়া লইয়া যাওয়া চলিবে না, সেগুলি বিক্রয় করিয়া ফেলিয়া নানা খুচরা দেন শোধ দিয়া দিল। সেকালের কাঠালিকাঠের বড় তক্তপোষ, সিন্দুক, পিাড়ি ঘরে অনেকগুলি ছিল, খবর পাইয়া ওপাড়া হইতে পর্যন্ত খরিদার আসিয়া সস্তাদরে কিনিয়া লইয়া গেল । গ্রামের মুরুব্বিারা আসিয়া হরিহরকে বুঝাইয়া নিবৃত্ত-করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। নিশ্চিন্দিপুরে দুগ্ধ ও মৎস্য যে কত সন্তা বা কত অল্প খরচে এখানে সংসার চলে, সে বিষয়ের একটা তুলনামূলক তালিকাও মুখে মুখে দাখিল করিয়া দিলেন। কেবল রাজকৃষ্ণ ভট্টাচার্য স্ত্রীর সাবিত্রী-ব্রত উপলক্ষ্যে নিমন্ত্রণ করিতে আসিয়া অনেকক্ষণ কথাবার্তার পর বলিলেন-বাপু আছেই বা কি দেশে যে থাকতে বলবো।--তা ছাড়া এক জায়গায় কাদায় গুণ পুতে থাকাও কোনো DBBBBB BDSL D DBBD D DYDD BDB BB DBDBDS DBB DDD বন্ধ হয়ে যায়। দেখি এবার তো ইচ্ছে আছে একবার চন্দ্রনাথটা সেরে আসবে, যদি ভগবান দিন দেন St