পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবিলেন। একটু সামলাইয়া বুজী মাথায় কাপড় তুলিয়া দিয়া ভাঙাগলায় বলিল-তোমার কাছে এয়েচি বাবাজী এতদিন পরে—একটুখানি আচ্ছায়ের জন্যি-আর কড়া দিনই বা বাঁচবো । কেউ নেই আব্ব ত্রিভুবনে—এই বয়সে फूी ऊांऊ कां°८ऊन अछि মজুমদার মহাশয় বডছেলেকে গাভীব দ্রব্যাদি নামাইতে বলিলেন ও ছেলেব’ সঙ্গে শাশুড়ীকে বাড়ীর মধ্যে পাঠাইয়া দিলেন । দ্বিতীয়পক্ষের বিধবা মেয়ে ও বড় পুত্রবধূ সংসাবে গৃহিণী। আরও তিনটি পুত্রবধু আছে। নাতি-নাতনীও তিন চারিটি । তালগাছেৰ গুডির খুঁটি ও আডার্যাধা প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড দুইখানা দাওয়া উঁচু আটচালা ঘব। জিনিসপত্র, সিন্দুকতোরঙ্গে বোঝাই, পা ফেলিবার স্থানাভাব। মজুমদার মহাশয়েব বিধবা মেয়েটির নাম হৈমবতী । খুব ভাল মেয়ে-সে নিজের হাতে ফল কাটিয়া জল খাবাব সাজাইয়া অত্যন্ত আপ্যায়িত করিয়া কাছে বসাইয়া খাওয়াইল ; একথা ওকথা জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, বলিলদিদিমা, আমায় কখনো দেখেননি, না ? কখনো তো এদিকে পায়ের ধূলো দ্যাননি এর আগে ! আক কেটে দেবো দিদিমা ? দাত আছে ? পাশের রান্নাঘরে ছেলেমেয়েরা সন্ধ্যাবেলা ভাত খাইতে বসিয়া হৈ চৈ করিতেছে। . একজন চেচাইয়া বলিতেছে, ও মা দ্যাখো, উমি সব ডালটুকু আমার পাতে ঢেলে দিচ্ছে! পুত্রবধু চেচাইতেছে, ওর কাছে খেতে বসিস কেন ? রোজ না বলিচি আলাদা বসবি-এই উমি, বড় বাড হয়েচে, না ? কিন্তু দশ বারো দিন কাটিয়া গেলে বুড়ীর সব কেমন নতুন নতুন ঠেকিতে লাগিল, তেমন স্বস্তি পাওয়া যায় না-নতুন ধরণের ঘরদোর, নতুন পথঘাট, নতুন ভাবে গৃহস্থালী। কেমন যেন মনে হয় এ ঠিক তাহার নিজের নয়, সব পর। প্রতিদিন সন্ধ্যার সময়ই মনে পন্ডিত নিরিবিলি দাওয়া আর খুকীখোকার মুখ। দিন কুডিক পরে বুড়ী যাইবার জন্য ছটফট করিতে লাগিল। এখানে আর মন টেকে না । কর্তার প্রথম পক্ষের শাশুড়ীর এ আকস্মিক আবির্ভাব ও তঁহার মতলব শুনিয়া বাড়ীর বডবধু প্রথম হইতেই সন্তুষ্ট ছিলেন না, অন্তর্ধানে খুশী ছাড়া অ-খুশী হইলেন না। চন্দ্র মজুমদারের ইচ্ছা কি ছিল ভগবান জানেন, কিন্তু বড় ছেলে ও বড়বন্ধুর ভয়ে কিছু বলিতে পারিলেন না। অনেক দিন পরে আবার নিজের ঘরের দাওয়ায় দুৰ্গাকে কাছে লইয়া খোকাকে কাছে লইয়া বসিয়া জ্যোৎস্না-ঝরা নারিকেলশাখার মৃদু কম্পন দেখিতে দেখিতে সুখে বুড়ীর ঘুমের আমেজ আসে। DOi ggB DDDD DBDBDD DDDDSBD DBB DS DB DBB