পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক নয়, চার পাঁচজন আছে। তিন চারটা রান্নাঘর। আঁশ, নিরামিষ, দুধের ঘর, রুটির ঘর, বাহিরের লোকদিগের রান্নার আলাদা ঘর। বিচাকরের সংখ্যা নাই। রান্নাবাড়াটা অন্তঃপুরের মধ্যে হইলেও একটু পৃথক। সেদিকটা যেন বি-চাকর-বামুনের রাজত্ব। বাড়ীর মেয়েরা কাজ বলিয়া ও বুঝাইয়া দিয়া যান মাত্র, বিশেষ কারণ ঘটিলে রান্নাবাড়ীতে বড় একটা থাকেন না । সৰ্বজয়া কি রাধিবে একথা লইয়া আলোচনা হয় । সর্বজয়ার বরাবরই বিশ্বাস সে খুব ভাল রাধিতে পারে। সে বলিল নিরামিষ তারকারী রান্নার ভার বরং তাহার উপর থাকুক। রাধুনী বামনী মোক্ষদা মুচকি হাসিয়া বলিল-বাবুদের রান্না তুমি করবে ? তা হ’লেই তো চিত্তির ? পরে পাচি-বিকে ডাক দিয়া কহিল, শুনচিস ও পাচি, কাশীর ইনি বলচেন নাকি বাবুদের তরকারী রাধবেন! কি নাম গা তোমার ? ভুলে যাই-মোক্ষদার ওষ্ঠের কোণের ব্যঙ্গের হাসিতে সর্বজয়ী সেদিন সঙ্কোচে অভিভূত হইয়া পড়িয়াছিল বটে, কিন্তু দু’একদিনেই সে বুঝিতে পারিল যে তাহার পাড়াগায়ের কোনো তরকারী রান্না সেখানে খাটিবে না । কোলে যে এত চিনি মিশাইতে হয় বা বঁধাকপির ফ্রিটার্স বলিয়া একটা যে তরকারী আছে, একথা সে এই প্রথম শুনিল । গৃহিণী সর্বজয়াকে মাস-দুই বেশ যত্ন করিয়াছিলেন। হালকা কাজ দেওয়া, খোঁজ খবর নেওয়া। ক্রমে ক্রমে অন্য পাঁচজনের সমান হইয়া দাড়াইতে হইল । বেলা দুটা পর্যন্ত কাজ করার পর প্রথম প্রথম সে বড় অবসন্ন হইয়া পড়িত। এভাবে অনবরত আগুনের তাতে থাকার অভ্যাস তাহার কোনো কালে নাই, অত বেলায় খাইবার প্রবৃত্তিও বড় একটা থাকে না। অন্য অন্য রাধুনীরা নিজেদের জন্য আলাদা করিয়া মাছ-তরকারী লুকাইয়া রাখে, কতক খায়, কতক বাহিরে কোথায় লইয়া যায়। সে পাতের কাছে একবার বসে মাত্র ! রায়ার বিরাট ব্যাপার দেখিয়া সর্বজয়া অবাকৃ হইয়া যায়, এত বড় কাণ্ড কারখানার ধারণা কোনো দিন স্বপ্নেও তাহার ছিল না, বিস্মিত হইয়া মনে মনে ভাবে,-দু’বেলায় তিন সের করে তেলের খরচ ? রোজ একটা যঞ্জির তেলঘি-এর খরচ !-পাড়াগায়ের গরীব ঘরের ছোট সংসারের অভিজ্ঞতা লইয়া সে এসব বুঝিয়ে উঠতে পারে না। একদিন সরু চালের ভাত রান্নার বড় ডেকৃচিটা নামাইবার সময় মোক্ষদা। বামনীকে ডাক দিয়া বলিল-ও মাসীমা, ডেকৃচিটা একটুখানি ধরবে ? cश्ांक निश्र्ां& निन्न न1 ।। BDB BuBD DD DD GBuD DBDBDD DDDDBu DD sBB Rt0