-বকে টিকে মি তো ? 一可h一 তাহার মা খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল-একটা কথা ভাবচি, এখেন থেকে চ’লে যাবি ? সে আশ্চর্য হইয়া মায়ের মুখের দিকে চাহিল। পরে হঠাৎ খুশি হইয়া বলিয়া উঠিল—কোথায় মা, নিশ্চিন্দিপুর ? সেই বেশ তো, চলো, আমি সেখানে ঠাকুর পূজো করবো-পৈতেটা তো হয়ে গিয়েচে-নিজেদের দেশ, বেশ হবে-এখানে আর থাকৃবো না সবজয়া বলিল-সে কথাও তো ভাবচি আজি দু’বছর। সেখানে যাবি বলছিস, কি আর আছে বল দিকি সেখানে ? এক বাড়ীখানা, তাও আজ তিন বছর বর্ষার জল পাচ্চে, তার কিছু কি আছে অ্যাদ্দিন ? মান্ধাতার আমলের পুরোনো বাড়ী-ছিল একটু ধানের জমি, তাও তো-গিয়ে মাথা গোজবার জায়গাটুকু ও নেহঁ-“তত্তর হাসাতে যাওয়া খানিকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল-একটা কাজ কল্পে হয়, চল বরংআচ্ছা কাশী | যাবি ? বিশেষ কিছু ঠিক হইল না। তাহার মায়ের তখনও খাওয়া হয় নাই । স্নান সারিয়া পুনরায় রান্নাবাড়ী চলিয়া গেল। অপুর একটা কথা মনে হইল । তাহার গানের গলা আছে, দিদি বলিত, যাত্রাদলের বন্ধুও সে-বার বলিয়াছিল। সে যদি কোনো যাত্রাদলে যায়, তাহাকে নেয় না ? এখানে মা’র বড় কণ্ঠ } এখান হইতে সে মাকে লইয়া যাইবে । উ: কি গরম ! রান্নাবাড়ীর নলের মুখে ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকাইয়া উঠিতেছে, কানিসের গায়ে রোদ ‘ঘরের ভিতরটা এরই মধ্যে অন্ধকার-আস্তাবলে BDBB BBB DD DDD DD DDDBLDBDYSKDBBBD BBLBLD BBDBD খুর ঝুঁকিবার খটু খটু আওয়াজ-ড়েনের সেই গন্ধ-তাহার মাথাটা এমন ধরিয়াছে যেন ছিডিয়া পড়িতেছে। সে ভাবিল এখন একটু শুয়ে নি,-এরপর উঠে খেলার মাঠে যাবে।--মোটে তিনটে বেজেছে-এখন বড় রোদটী । বিছানায় শুইয়া একটা কথাই বারবার তাহার মনে আসিতে লাগিল । এ কথাটা এতদিন এভাবে সে ভাবিয়া দেখে নাই। এতদিন যেন তাহার মনের কোন কোণে সব সময়েই স্পষ্টভাবে জাগিয়া থাকিত যে, এ সবের শেষে যেন তাহায্যের গ্রাম অপেক্ষা করিয়া আছে-তাহাদের জন্য ! যদিও সেখান হইতে চলিয়া আসিবার সময় ফিরিবার কোনো কথাই ছিল না-লে জানে, তবুও এ মোহটুকু তার একেবারে কাটে নাই।
