পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমিও দেখে নিও ব’লে দিচ্ছি বাছা, আমি যদি গিরিমার কাছে ব’লে ওকে এ বাড়ি থেকে না তাড়াই তবে আমি রামনিধি ভিড়ের মেয়েই নই-নেই-নেইএই তোমায় বলে দিলুম। সর্বজয়া হাসিমুখে বলিল, না সদু-মাসী, সে বললেই অমনি আমি শুনবো কেন ? তা ছাড়া ওর স্বভাব তো জানো-ওই রকম, ওর মনে কোন রাগ নেই, মুখে হাউ-হাউ ক’রে বকে-এমন তো কিছু বলেও নি-আর তা ছাড়া আমি আজি দু’মাস দশ মাস তো নয়, তোমায় দেখচি আজ তিন বছর-বললেই কি আর আমি শুনি ? তিন বচ্ছর এ বাড়িতে ঢুকিচি, কৈ তোমার নামে সদু-ঝি একটু নরম হইয়া বলিল, অপু কোথায়, দেখচি নে-আজ তো রবিবার-ইস্কুল তো আজ বন্দ সর্বজয়া প্রতিদিন রান্নাঘরের কাজে সারিয়া আসিয়া তবে সুদান করে, তেলের বাটিতে বোতল হইতে নারিকেল তৈল ঢালিতে ঢালিতে বলিল, কোথায় বেরিয়েচে। ওই শেঠেদের বাড়ির পাশে কোন এক বন্ধুর বাড়ি, সেখানে ছুটির দিন যায় বেড়াতে । তাই বুঝি বেরিয়েচে । ছেলে তো নয়, একটা পাগলদুপুর রোদপুর রোজ মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া চাই তার। দাড়িয়ে কেন, বোসে না মাসী ! সন্ধু বলিল, না, তুমি খাও, আর বসবো না-ভাবলুম যাই কথাটা গিয়ে শুনে আসি, তাই এলুম। বোলো ওবেলা মুখি বামনীকে, একটু বুঝিয়ে দিওখোকাবাবুর ভাতে সেই দুইয়ের হাড়ি বৈ-করা মনে নেই বুঝি ? সদুর পেটে অনেক কথা আছে, বুঝলে ? দেখতেই ভালমানুষটি, বোলো বুঝিয়ে সদু-বি চলিয়া গেলে সর্বজয়া তেল মাখিতে বসিল। একটু পরে দোরের কাছে পায়ের শব্দে মুখ তুলিয়া চাহিয়া দেখিয়া বলিল, ওঃ, রোদরে ঘুরে তোর মুখ ষে একেবারে রাঙা হয়ে গিয়েচে ! বোস বোস-আয়-ওমা আমার কি হবে । অপু ঘরের ভিতর ঢুকিয়া একেবারে সোজা বিছানায় গিয়া একটা বালিশ টানিয়া শুইয়া পড়িল । হাত-পাখ্যাখানা সজোরে নাড়িয়া মিনিটখানেক বাতাস খাইয়া লইয়া মায়ের দিকে চাহিয়া বলিল, এখনও নাও নি ? বেলা তো দুটো সৰ্বজয়া বলিল, ভাত খাবি দুটো ? अत्रू बांधा नांख्रिग्रा जिब्ज, ना—খা না দুটােখানি ? ভাল ছানার ডালনা আছে, সকালে শুধু তো ডাল আর বেগুনভাজা দিয়ে খেয়ে গিাইচিল । ক্ষিদে পেয়েচে আবার এতক্ষণ — · অপু বলিল, দেখি কেমন ?