পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালক উৎসাহে ও আগ্রহে উজ্জ্বল মুখ উচু করিয়া বাবার মুখের দিকে তুলিয়া জিজ্ঞাসা করিল--কি বাবা ? হরিহর বলিল-কি তা কি আমি দেখেচি!-শূওর টুওর হবে-নাও চলো, ঠিক রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটো শূয়োর না বাবা, ছোট্ট যে। পরে সে নীচু হইয়া দৃষ্ট বস্তুর মাটি হইতে উচ্চতা দেখাইতে গেল । চল চল-হঁ্যা আমি বুঝতে পেরেচি, আর দেখাতে হবে না-চল দিকি !!-- নবীন পালিত বলিল-ও হোলো খরগোশ, খোকা, খরগোশ। এখানে খন্ডের ঝোপে খরগোশ থাকে, তাই । বালক বর্ণপরিচয়ে ‘খ’-এ খরগোশের ছবি দেখিয়াছে, কিন্তু তাহা যে জীবন্ত অবস্থায় এ রকম লাফাইয়া পালায় বা তাহা আবার সাধারণ চক্ষুতে দেখিতে পাওয়া যায়, একথা সে কখনো ভাবে নাই। খরগোশ !-জীবন্ত । একেবারে তোমার সামনে লাফাইয়া পালায়-ছবি না, কাচের পুতুল না—একেবারে কানখাড়া সত্যিকারের খরগোশ -এই রকম ভঁাটগাছ। বৈঁচিগাছের ঝোপে ! জল-মাটির তৈরী নশ্বর পৃথিবীতে এ ঘটনা কি করিয়া সম্ভব হইল, বালক তাহা কোনমতে ভাবিয়া ঠাহর করিতে পারিতেছিল না । সকলে বনে ঘেরা সরু পথ ছাড়াইয়া মাঠে পড়িল । নদীর ধারের বাবলা। ও জীওলা গাছের আড়ালে একটা বড় ইটের পাজার মত জিনিস নজরে পড়ে, ওটা পুৰানো কালের নীলকুঠির জালঘরের ভগ্নাবশেষ। সেকালে নীলকুঠির আমলে এই নিশ্চিন্দিপুর বেঙ্গল ইণ্ডিগো কনসারুনের হেডকুঠি ছিল, এ অঞ্চলের চৌদ্দটা কুঠির উপর নিশ্চিন্দিপুর কুঠির ম্যানেজার জন্য লারমার দোর্দণ্ডপ্রতাপে রাজত্ব করিত। এখন কুঠির ভাঙা চৌবাচ্চাঘর, জালাঘর সাহেবের কুঠি আপিস, জঙ্গলাকীর্ণ ইটের ভূপে পরিণত হইয়াছে। যে প্রবলপ্রতাপ লারমার সাহেবের নামে এক সময় এ অঞ্চলে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খাইত, আজকাল দু’একজন অতিবৃদ্ধ ছাড়া সে লোকের নাম পর্যন্ত কেহ জানে না। মাঠের ঝোপঝাপগুলো উলুখড়, বনকলমী, সোদাল ও কুলগাছে ভয়া । কলমীলতা সারা ঝোপগুলোর মাথা বড় বড় সবুজ পাতা বিছাইয়া ঢাকিয়া BYDBB zS DBD BBDBS DDBD DtD DD BDBSBDDu ফুল সুর্যের আলোর দিকে মুখ উচু করিয়া ফুটিয়া আছে, পড়ন্ত বেলার ছায়ায় DD DDDDDBD BBDDBS BBD DBDS DDBDBD BDDB BDBB BB LDDDD ঐশ্বর্য, রাজার মত ভাণ্ডার বিলাইয়া দান, কোথাও এতটুকু দারিত্র্যের আশ্রয় e VMسeqه