পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহ করেন, সে-ই বরং দেওয়ানপুরে থাকিতে নানা ছল-চুতায় মাঝে মাঝে কত DD DBB BuuD DBDDBDS DDDDDDSS DBuLD Du DBDBD JDDDD BBB চাহিয়া-চিন্তিয়া মা যোগাড় করিয়া দিতেন । খুব কষ্ট না হইলে কখনো মা তাহাকে টাকার জন্য লেখেন নাই । পকেট হইতে টাকা বাহির করিয়া গুণিয়া দেখিল সাতাশটি টাকা আছে । মেসেব দেন সাডে পনেরো টাকা বাদে সাডে এগারো টাকা থাকে । মাকে কত টাকা পাঠানো যায় ? মনে মনে ভাবিল-তিনটে টাকা তো চেয়েছেন, আমি দশ টাকা পাঠিয়ে দিই, মনিঅৰ্ডার পিওন যখন টাকা নিয়ে যাবে, মা ভাববেন, বুঝি তিন টাকা কিংবা হয়তো দুটাকার অনিঅৰ্ডার-জিজ্ঞেস কববেন, কত টাকা ? পিওন যেই বলবে দশ টাকা, মা অবাক হয়ে যাবেন । মাকে তাক লাগিয়ে দেবো।--ভারী মজা, বাডিতে গেলে মা শুধু সেই গল্পই করবেন দিনরাতঅপ্রত্যাশিত টাকা প্রাপ্তিতে মায়ের আনন্দোজ্জল মুখখানা কল্পনা করিয়া অপু ভাবী। খুশী হইল। বৌবাজার পোস্টাফিস হইতে টাকাটা পঠাইয়া দিয়া সে ভাবিল-বেশী হ’ল । আহা, মাকে কেউ কখনো দশ টাকার অনিঅৰ্ডার এক সঙ্গে পাঠায় নি-টাকা পেয়ে খুশী হবেন। আমার তো এখন রইল দেড় টাকা, ত বিপব একটা কিছু ঠিক হয়ে যাবেই। কলেজের একটি ছেলের সঙ্গে তাহার খুব বন্ধুত্ব হইয়াছে । সেও গরীব ছাত্র, ঢাকা জেলায় বাডি, নাম প্রণব মুখাজি। খুব লম্বা, গৌরবর্ণ, দোহার চেহারা, বুদ্ধিপ্রোজ্জল দৃষ্টি। কলেজ-লাইব্রেরীতে এক সঙ্গে বসিয়া বট পাডিতে পডিতে দু’জনের আলাপ । এমন সব বই দু’জনে লইয়া যায়, যাহা সাধারণ ছাত্রেরা পডে না, নামও জানে না। ফাস্ট-ইয়ারের ছেলেকে মমসেন লাইতে দেখিয়া প্রণব তাঃ বি দিকে প্রথম আকৃষ্ট হয়। আলাপ ক্রমে বন্ধুত্বে পরিণত হইয়াছে । অপু শীঘ্রই বুঝিতে পারিল, প্রণবের পড়াশুনা তাহার অপেক্ষা অনেক বেশী। অনেক গ্রন্থকারের নামও সে কখনও শোনে নাই-নীটশে, এমার্সন, টুর্গেনিভ, ব্রেটেড-প্রণবের কথায় সে উহাদের বই পড়িতে আরম্ভ কবিল। তাহারই উৎসাহে সে পুনরায় ধৈর্যও অধ্যবসায়ের সহিত গিবন শুরু কবিল, ইলিয়াডেল অনুবাদ পড়িল । অপুর পড়াশুনার কোনও বাধাৰ্বিাধি রীতি নাই। যখন যাহা ভাল লাগে, কখনও ইতিহাস, কখনও নাটক, কখনও কবিতা, কখনও প্রবন্ধ, কখনও বিজ্ঞান। প্রণব নিজে অত্যন্ত সংযমী ও শৃঙ্খলাপ্রিয়। সে বলিল, ওতে কিছু হবে না, ওরকম পড় কেন ? অপু চেষ্টা করিয়াও পড়াশুনায় শৃঙ্খলা আনিতে পারিল না। লাইব্রেরী bም እ