পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কতক্ষণ পরে সে জানে না, তাহার জ্ঞান হইল। একটা বাক্স বা ঘরের মধ্যে সে শুইয়া আছে, ঘাবটা বেজায় দুলিতেছে-পেটে ভয়ানক যন্ত্রণা-কাহাবা কি বলিতেছে, অনেক মোটরগাডির ভেঁপুব শব্দ -আবাবে ধোয় ধোয়||• • • পুন্যবাদ্য যখন আনিলের জ্ঞান ঠাইল, সে চোখ মেলিয়া চাহিয়া দেখিল একটা DBB BB G0 DtBBBB KLLSK gBB BDBD K BB BBD DDSSS BkG YDBB BBB ও ছোট কাকা বসিয়া, আরও তিনজন অপরিচিত লোক । নার্সেব পোশাক-পাব। দু'জন মেম। এটা হাসপাত’ল ? কোন হাসপাতাল ? কি হইয়াছে তাহার ? তলপেটেব যন্ত্রণা তখনও সমান, শরীর ঝিম্ ঝিম করিতেছে, সারা দেহ যেন অবশ। পরদিন বেলা দশটার সময় অপু গেল । সে-ই কাল খবর পাইয়া তখনি ছুটিয়া শিয়ালদহেব মোডে শিয়াছিল। সঙ্গে ছিল সন্তোন ও চার-পাচজন ছেলে । টেলিফোনে অ্যাম্বুলেন্স গাডি অ্যানাইয়া তখনি সকলে মিলিয়া তাহাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপানালে আনা হয় ও বাডিতে খবর দেওয়া হয়। ডাক্তার বলেন হানিষা • স্ট্র্যাঙ্গলেটেড হানিয়া, তখনি অস্ত্র বাের হইয়াছে ৷ ‘ · বৈকালেও সে গেল। কেবিন ভাড করা হইয়াছে, অনিলের মা বসিয়াছিলেন, অপু গিয়া পায়ের ধূলা লইয়া প্রণাম করিল। অনিল এখন অনেকটা ভাল আছে, অস্ত্র কবার পরে বেজায় যন্ত্রণা পাইয়াছিল, সারাবাত ও সারাদিন -দুপুরের পর সেটা একটি কম । তাহার মুখ রক্তশূন্য পাণ্ডুবি । সে হাসিয়া অপুর হাত ধবিয়া কাছে বসাইল, বলিল-স্বাস্থ্যের মতন জিনিস, আর নেই, যতই বলুন-এই তিনটে দিন যেন একেবারে মুছে গিয়েছে জীবন থেকে। অপু বলিল-বেশী কথা বলে না, যন্ত্রণা কেমন এখন ? অনিলের মা বলিলেন,-তোমাৰ কথা সব শুনেছি, “গ্যিস তুমি ছিলে বাবা সেদিন । অনিল বলিল,-“দেখবেন মজা, ঘণ্টা নাডলেই নার্স এখুনি ছুটে আসবেবাজাব দেখবেন ?- সে হাসিয়া একটা হাত-ঘণ্টা বাজাইতেই লম্বা একজন নার্স আসিয়া হাজিরা। সে চলিয়া গেলে অনিলের মা বলিলেন—কি যে কারিস ? ਇ:- দুজনেই খুব হাসিতে লাগিল। খানিকক্ষণ গড়ের মাঠের দিকে বেড়াইয়া সন্ধ্যার পর বাসায় ফিরিয়া অপু সবে আলোটি জালিয়াছে, এমন সময় সত্যেন ও অনিলের পিসতুতো ভাই ফণী-অপু তাহাকে হাসপাতালে প্রথম দেখিয়াছে, সেখানেই প্রথম আলাপ —ব্যস্ত সমস্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকিল । সত্যেন বলিল-ওঃ, তোমাকে দু’বার এর আগে খুঁজে গেছি-এখুনি হাসপাতালে এস-জান না ? AdAAhooms