পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপু জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে উহাদের মুখের দিকে চাহিতেই ফণী বলিল-অনিল । भांश शिcअcछ qझे जांद्धि छांद्ध नभश्-शर्टां९ । সকলে ছুটিতে ছুটিতে হাসপাতালে গেল। অনিলের মৃতদেহ খাট হইতে নামাইয়া সাদা চাদর দিয়া ঢাকিয়া মেঝেতে রাখিয়াছে। বহু আত্মীয়স্বজনে কেবিন ভরিয়া গিয়াছে, ক্লাসের অনেক ছেলে উপস্থিত, একদল ছেলে এইমাত্র এসেন্স ও ফুলের তোড়া লইয়া কেবিনে ঢুকিল । অল্পপরেই মৃতদেহ নিমতলায় লইয়া যাওয়া হইল । সব কাজ শেষ হইতে রাত্রি তিনটা বাজিয়া গেল । অন্য সকলে গঙ্গাস্নান করিতে লাগিল। অপু বলিল, তোমরা নাও, আমি গঙ্গায় নাইব না, কলের জলে সকালবেলা নাইবো । কতকাতার গঙ্গায় নাইতে अभिांद्ध भक शांश भां । অনিলের বাবার মত লোক সে কখনও দেখে নাই । এত বিপদেও তিনি সারারাত বাধানে চাতালে বসিয়া ধীরভাবে কাঠের নল বসানো সর্টকাতে তামাক টানিতেছেন। অপুকে বার দুই জিজ্ঞাসা করিয়াছেন-বাবা তোমার ঘুম লাগে নি তো ? -- “কোনও কষ্ট হয় তো বলে বাবা । অপু শুনিয়া চোখের জল রাখিতে পারে নাই। সুনীল সিগারেট কেন্সট। তাহার জিন্মায় রাখিয়া জলে নামিলে সে ঘাটের ধাপের উপর বসিয়া রহিল। অন্ধকার আকাশে অসংখ্য জলজলে নক্ষত্র, রাত্রিশেষের আকাশে উজ্জল সপ্তর্ষিমণ্ডল ওপারে জেসপ কোম্পানীর কারখানার মাথায় ঝুকিয়া পড়িতেছে, পূর্ব-আকাশে চিত্র প্রত্যাসন্ন দিবালোকের মুখে মিলাইয়া যাইতেছে। অপুর মনের মধ্যে কোনও শোক কি দুঃখের ভাব খুজিয়া পাইল না-কিন্তু মাত্র তিনদিন আগে কোম্পানীর বাগানে বসিয়া যেমন আনিলেব সঙ্গে গল্প করিয়াছিল, সারা আকাশের অসংখ্য নক্ষত্ররাজির দিকে চাহিয়া বাল্যে নদীর ধারে বসিয়া সন্ধ্যার প্রথম নক্ষত্রটি দেখিবার দিনগুলির মত এক অপূৰ্ব, অবর্ণনীয় রহস্যের ভাবে তাহার মন পরিপূর্ণ হইয়া গেল-কেমন মনে হইতে লাগিল, কি একটা অসীম রহস্য ও বিপুলতার আবেগে নিবাক নক্ষত্রজগৎটা যেন মুহুর্তে মুহুর্তে স্পন্দিত হইতেছে। অনিলের মৃত্যুর পর অপু বড় মুসড়াইয়া পড়িল! কেমন এক ধরণের অবসাদ শরীরে ও মনে আশ্রয় করিয়াছে, কোনো কাজে উৎসাহ আসে না, হাত-পা ਜ| বৈকালে ঘুরিতে ঘুরিতে সে কলেজ-স্কোয়ারের একখানা বেঞ্চির উপর