পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পূর্ণ নতুন ধরণের উৎসাহ লইয়া সে ফিরিল। কে জানিত বঙ্গবাসীর সে লেখকের সঙ্গে এভাবে দেখা হইয়া যাইবে!--"শুধু বাঁচিয়া থাকাই এক সম্পদ, তোমার বিনা চেষ্টাতেই এই অমৃতময়ী জীবনধারা প্রতি পলের রসপাত্র পূর্ণ করিয়া তোমার অন্যমনস্ক, অসতর্ক মনে অমৃত পরিবেশন করিবে-সে যে করিয়া হউক বঁচিবে । সন্ধ্যা ঠিক হয় নাই, উঠানে তেলি-বাডির বড় বেী দাড়াইয়া কি গল্প কবি তেছিল, দূর হইতে অপুকে আসিতে দেখিয়া হাসিমুখে বলিল-কে আসছে। বলুন তো মা-ঠাকুরুণ ?--সর্বজয়ার বুকের ভিতরটা কেমন করিয়া উঠিল, অপু নয় তো—অসম্ভব।-সে। এখন কেন পরীক্ষণেই সে ছুটিয়া আসিয়া অপুকে বুকের ভিতর জড়াইয়া ধরিল। সবজয়ার চোখের জলে তাহার জামার হাতাটা ভিজিয়া উঠিল। মাকে যেন নিজে পি অপেক্ষা মাথায় ছোট, দুর্বল ও অসহায় বলিয়া অপুর মনে হইতে লাগিল। তপ:কুশ শবরীর মত ক্ষীণাঙ্গী, আলুথালু, অধরুক্ষ চুলের গোছা একদিকে পডিয়াছে, মুখের চেহারা এখনও সুন্দর, গ্রীব ও কপালের রেখাবলী এখনও অনেকাংশে ঋজু ও সুকুমার। তবে এবারে মায়ের চুল পাকিয়াছে, কানের পাশের চুলে পাক ধরিয়াছে। নিজের সবল দৃঢ় বাহু-বেষ্টিনে, সরলা, চির দুঃখিনী মাকে সংসারের সহস্ৰ দুঃখ-বিপদ হইতে বঁাচাইয়া রাখিতে অপুর ইচ্ছা যায়। এ ভাবটা এইবার প্রথম সে মনের মধ্যে অনুভব করিল, ইতিপূবে কখনও হয় নাই। বড়-বেী একপাশে হাসিমুখে দাড়াইয়াছিল, সে অপুকে ছোট দেখিয়াছে এখন আর তাহাকে দেখিয়া ঘোমটা দেয় না । সর্বজয়া বলিল,-এবার ও এসেছে। বেীমা, এবার কালই কিন্তু । অপু নিকটে গিয়া জিজ্ঞাসা করিল,-কি খুড়ীমা, কাল কি ? বড়-বেী হাসিয়া বলিল,-দেখো কাল,-আজি বলবো না তো । খিচুড়ী খাইতে ভালবাসে বলিয়া সর্বজয়া অপুকে রাত্রে খিচুড়ী রাধিয়া দিল ; পেট ভরিয়া খাওয়া ঘটিল, এই সাত-আটদিন পর আজ মায়ের কাছে। সর্বজয়া জিজ্ঞাসা করিল,-হঁ্যা রে সেখানে খিচুড়ী খেতে পাস ? অপুর শৈশবে তাহার মা শত প্রতারণার আবরণে নগ্নদারিদ্র্যের নিষ্ঠুর রূপকে তাহাদের শিশুচক্ষুর আড়াল করিয়া ব্লখিত, এখন আবার অপুর পালা। সে बलिज-ह, बांगला श्लशे शिफूौ श्य। --কি ডালের করে ? veve