পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়াছে। একটা অদ্ভুত ধরণের মনের ভাব হয়। অপুর। কেমন এক ধরণের গভীর বিষাদ-মায়ের এই সব ছোটখাটাে আশা, তুচ্ছ সাধ-কত নিস্ফল। --মা কি ওই শাকের ক্ষেতের শাক খাইতে পারিবে ? কালীঘাটের কালীদর্শন করিবে: জ্যাঠাইমার বাসায় থাকিয়া !-নিশ্চিন্দপুরের আমবাগান। এক ধরণের নির্জনতা • • •সঙ্গীহীনতার ভাব-মায়ের উপর গভীর করুণা • • • রাঙা রোদ মিলাইতেছে চারা জামরুল গাছটাতে-“সন্ধ্যা ঘনাইতেছে। ছাতারে ও শালিক পাখির দল কিচ-মিচা ও ঝটপট করিতেছে।••• অপুর চোখে জল আসিল--কি অদ্ভুত নির্জনতা-মাখানো সন্ধ্যাটা!! মুখে হাসিয়া সস্নেহে মায়ের গায়ে হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিল,-আচ্ছা, মা, বড় বোয়ের সঙ্গে বাজি রেখেছিলে কি নিয়ে-বলে না-বললে না তো সেদিন ?• • • ছুটি ফুরাইলে আপু বাড়ি হইতে রওনা হইল। স্টেশনে আসিয়া কিন্তু ট্রেন পাইল না, গহনার নৌকা আসিতে অত্যন্ত দেরি হইয়াছে, ট্রেন আধা ঘণ্টা পূর্বে ছাড়িয়া দিয়াছে। সবজয়া ছেলের বাড়ি হইতে যাইবার দিনটাতে অন্যমনস্ক থাকিবার জন্য কাপড়, বালিশের ওয়াড় সাজিমাট দিয়া সিদ্ধ করিয়া বঁাশবনের ডোবার জলে কাচিতে নামিয়াছে-সন্ধ্যার কিছু পূর্বে বাড়ির দাওয়ায় জিনিসপত্র নামাইয়া ছুটিয়া ডোবার ধারে গিয়া পিছন হইতে ডাকিল,-’ম !-- সর্বজয়া ভুলিয়া থাকিবার জন্য দুপুর হইতে কাপড় সিদ্ধ লইয়া ব্যন্ত আছে, চমকিয়া পিছন দিকে চাহিয়া আনন্দ-মিশ্রিত স্বরে বলে,-তুই !-যাওয়া छ'ल मा ? অপু হাসিমুখে বলে,-গাড়ি পাওয়া গেল না-এসে বাড়িবঁাশবনের ছায়ায় মায়ের মুখে সেদিন যে অপূর্ব আনন্দের ও তৃপ্তির ছাপ পড়িয়াছিল, অপু কোনও দিন তাহা দেখে নাই-বহুকাল পর্যন্ত মায়ের এ মুখখান তাহার মনে ছিল। সেদিন রাত্রে দু’জনে নানা কথা। অপু আবার ছেলেবেলাকার গল্প শুনিতে চায় মা’র মুখে-সর্বজয়া লজ্জিতম্বরে বলে—হঁ্যা, আমার আবার গল্প! সে সব ছেলেবিয়সের গল্প-তা বুঝি এখনো শুনে তোর ভাল লাগবে। অপুকে আর সর্বজয়া বুঝিতে পারে না-এ সে ছোট্ট অপু নয়, যে ঠোঁট ফুলাইলেই সর্বজয়া বুঝিত ছেলে কি চাহিতেছে। এ কলেজের ছেলে, তরুণ অপু, এর মন, মতিগতি, আশা আকাঙ্ক্ষা-সর্বজয়ার অভিজ্ঞতার বাহিরে-অপু বলে,-না মা, তুমি সেই ছেলেবেলার শ্যামলঙ্কার গল্পটা করে। সর্বজয়ী বলে,-আঞ্জাবার कि अनिव-टूरे दर 6डॉन बरेशन ७की श्रह सन् See ܖܪܚܝ%#ܗܝ