পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখখানি কি রকম যেন ? ভারী সুন্দর মুখ কিন্তু এই কয়দিনের মধ্যেহ সব যেন মুছিয়া অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে-মেয়েটির মুখ মনে আনিবার ও ধরিয়া রাখিবার যত বেশী চেষ্টা করিতেছে সে, ততই সে-মুখ দ্রুত অস্পষ্ট হইয়া । যাইতেছে। শুধু নতপল্পব কৃষ্ণতারা-চােখ-দু'টির ভঙ্গি অল্প অল্প মনে আসে, আর মনে আসে সম্পূর্ণ নতুন ধরণের সে স্নিগ্ধ হাসিটুকু। প্রথমে ললাটে লুজ্জা ঘনাইয়া আসে, ললাট হইতে নামে ডাগর দু’টি চোখে পরে কপোলে-তারপরই যেন সারা মুখখানি অল্পক্ষণের জন্য অন্ধকার হইয়া আসে।--ভারী সুন্দর দেখায় সে সময়। তারপরই আসে সেই অপূর্ব হাসিটি, ওরকম হাসি আর কারও মুখে অপু কখনও দেখে নাই। কিন্তু মুখের সব আদালটা তো মনে আসে না”— সেটা মনে আনিবার জন্য সে ঘাসের উপর শুইয়া অনেকক্ষণ ভাবিল, অনেকক্ষণ প্রাণপণে চেষ্টা করিয়া দেখিল না কিছুতেই মনে আসে না-কিংবা হয়ত আগে অতি অল্পক্ষণের জন্য, আবার তখনই অস্পষ্ট হইয়া যায়। অপর্ণ-কেমন मांभ ि? জ্যৈষ্ঠ মাসেব মাঝামাঝি প্রণব কলিকাতায় আসিল । বিবাহের পর এই তাহার সঙ্গে প্রথম দেখা । সে আসিয়া গল্প করিল, অপর্ণার মা বলিয়াছেনতাহার কোন পুণ্যে এরকম তরুণ দেবতার মত রূপবান জামাই পাইয়াছেন জানেন না।--তাহার কেহ কোথাও নাই শুনিয়া চোখের জল রাখিতে পারেন নাই। • অপু খুশী হইল, হাসিয়া বলিল-তবু তো একটা ভাল জামা গায়ে দিতে পারলাম না, সাদা পাঞ্জাবী গায়ে বিয়ে হ’ল-দূব ! না খেয়ে-দোয়ে একটা সিস্কের জামা করা লুম, সেটা গেল ছিডে-ছুটে, তখন তুমি এলে তোমার মামার বাডিতে নিয়ে যেতে, তার আগে আসতে পারলে না-আচ্ছা সিস্কের জামাটাতে’ আমায় কেমন দেখাতো ? -ওঃ-সাক্ষাৎ য়্যাপোলো বেলভেডিয়ার ! ঢের ঢের হামবাগ দেখেছি, কিন্তু তোর জুড়ি খুঁজে পাওয়া ভার-বুঝলি ? না-কিন্তু একটা কথা । অপর্ণার মা কি বলেন তাহা জানিতে অপুর তত কৌতুহল নাই-অপর্ণা কি বলিয়াছো-অপর্ণা ? অপর্ণ কিছু বলে নাই !-- হয়ত কেনারাম মুখুয্যের ছেলের সঙ্গে বিবাহ না হওয়াতে মনে মনে দুঃখিত छछे भ्रांछ-ना ? প্রণবের মামা এ বিবাহে তত সন্তুষ্ট হন নাই, স্ত্রীর উপরে মনে মনে চটিয়াছেন এবং তার মনে ধারণা-প্রণবই তাহার মামীমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করিয়া নিজের বন্ধুর সঙ্গে বােনের বিবাহ দেওয়াইয়াছে। নূম নাই, বংশ নাই, $bሦ8