পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুৰ্গা হঠাৎ বলিয়া উঠিল-চল রে অপু, ঐ কোথায় ডুগডুগী বাজচে, চল বঁােদর খেলাতে এসেছে ঠিকৃ, শীগগির আয় আগে আগে দুৰ্গা ও তাহার পিছনে পিছনে অপু বাটির বাহির হইয়া গেল। সম্মুখের পথ বাহিয়া, বঁাদর নয়, ও-পাড়ার চিনিবাস ময়রা মাথায় করিয়া খাবার ফেরি করিতে বাহির হইয়াছে। ও-পাড়ায় তাহার দোকান, তা ছাড়া সে আবার গুডের ও ধানের ব্যবসাও কবে । কিন্তু পুজি কম হওয়ায় কিছুতেই সুবিধা করিতে পারে না, অল্পদিনেই ফেল, মারিয়া বসে। তখন হয়তো মাথায় করিয়া হাটে আলু, পটল, কখনও পান বিক্রয় করিয়া বেড়ায়। শেষে তাতেও যখন সুবিধা হয় না, তখন হয়তো সে বুলি ঘাড়ে করিয়া জাত-ব্যবসা আরম্ভ করে। পরে হঠাৎ একদিন দেখা যায় যে, আবার পাথুরে চুন মাথায় করিয়া বেডাইতেছে। লোকে বলে একমাত্র মাছ ছাড়া এমন কোনো জিনিস নাই, যাহা তাহকে বিক্রয় করিতে দেখা যায় নাই । কাল দশহরা, লোকে আজ হইতেই মুড়কী সন্দেশ কিনিয়া রাখিবো। চিনিবাস হরিহর রায়ের দুয়ার দিয়া গেলেও বাড়ী ঢুকিল না। কারণ সে জানে এ বাড়ীর লোক কখনো কিছু কেনে না। তবুও দুর্গ-অপুকে দরজায় দাড়াইয়া থাকিতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা কবিল—চাই নাকি ? অপু দিদির মুখের দিকে চাহিল। দুর্গা চিনিবাসের দিকে ঘাড় নাড়িয়া マfエーホ川*ー চিনিবাস ভুবন মুখুয্যের বাড়ী গিয়া মাথার চাঙারী নামাইতেই বাড়ীর ছেলেমেয়ের কলরব করিতে করিতে তাহাকে ঘিরিয়া দাড়াইল। ভুবন মুখুয্যে অবস্থাপন্ন লোক, বাড়ীতে পাঁচ ছয়টা গোলা আছে, এ গ্রামে অন্নদা রায়ের নীচেই জমিজমা ও সম্পত্তি বিষয়ে তাহার নাম করা যাইতে পারে। ভুবন মুখুয্যের স্ত্রী বহুদিন মারা গিয়াছেন। বর্তমানে তঁাহার সেজ ভাইয়ের বিধবা স্বী এ সংসারের কত্রী । সেজ-বৌ-এর বয়স চল্লিশের উপর হইবে, অত্যন্ত কৃড়া মেজাজের মানুষ বলিয়া তাহার খ্যাতি আছে। সেজ-বেী একখানা মাজা পিতলের সরায় করিয়া চিনিবাসের নিকট হইতে মুড়কী, সন্দেশ, বাতাসা দশহরা পূজার জন্য লইলেন। ভুবন মুখুয্যের ছেলেমেয়ে ও উর্তাহার নিজের ছেলে সুনীল সেইখানেই দাড়াইয়া ছিল, তাহাদের জন্যও খাবার কিনিলেন। পরে অপুকে সঙ্গে লইয়া দুৰ্গা চিনিবাসের পিছন পিছন ঢুকিয়া উঠানে আসিয়া দাড়াইয়া আছে দেখিয়া সেজ-বেী নিজের ছেলে BBBBDB DBBD DDD D DiB BDBD D DDBDYigB DSLLDDBD 8ጫ