পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাদামশায়ের কাছে আপনাকে নিয়ে যাই, ওঁর একখানা চিঠিতে হয়ে যাবে। কৃতজ্ঞতায় অপুর মন ভরিয়া গেল। এত কথার মধ্যে লীলা চাকুরী ধাওয়ার কপাটাই কি ভাবে মনে ধরিয়া বসিয়াছিল - ললা বলিল-আপনি আজ দুপুরে এখানে না খেয়ে যাবেন না! আসুন -श्राथा अ क'द्ध *ि नि ना । কিন্তু চাকুরি হইল না। এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞতা না থাকায় লীলা একটু ভুল করিয়াছিল, দাদামশায়কে বলিয়া রাখে নাই অপুর কথা। দিন দুই আগে লোক লওয়া হইয়া গিয়াছে। সে খুব দুঃখিত হইল, একটু অপ্রতিভাও হইল । অপু দুঃখিত হইল। লীলার জন্য। বেচারী লীলা ! সংসারের কোন অভিজ্ঞতা তাহার কি আছে ? একটা চাকুরি খালি থাকিলে যে কতখানা উমেদারীর দরখাস্ত পড়ে, বড়লোকের মেয়ে, তাহাব খবর কি করিয়া জানিবে । লীলা বলিল-আপনি এক কাজ করুন না, আমার কথা রাখতে হবে। কিন্তু, ছেলেবেলার মত একগুয়ে হলে কিন্তু চলবে না-প্রাইভেটে বি. এ.-টা দিয়ে দিন। আপনাব পক্ষে সেটা কঠিন না কিছু। অপু বলিল-বেশী দেব । লীলা উৎফুল্প হইয়া উঠিল-ঠিক ? অনার ব্রাইট ? -अनांद्भ उद्देठे ! শীতের অনেক দেরী, কিন্তু এরই মধ্যে লীলাদের গাডিবারান্দায় পাশে জাফরিতে ওঠানো মার্শালনীলের লতায় ফুল দেখা দিয়েছে, বারান্দার সিডির দু’পাশের টবে বড় বড় পল নিরোন ও ব্ল্যাক প্রিন্স ফুটিয়াছে। বর্ষাশেষে চাইনিজ ফ্যান পামের পাতাগুলো ঘন সবুজ । পদ্মপুকুর রোডে পা দিয়াই অপুর চোখ জলে ভরিয়া আসিল। লীলা ছেলেমানুষ লীলা-সে কি জানে সংসারের দৃঢ়তা ও নিষ্ঠুর সঙ্ঘর্ষের কাহিনী ? আজ তাহার মনে হইল, লীলার পায়ে একটা কঁাটা ফুটিলে সেটা তুলিয়া দিবার জন্য সে নিজের সুখ শান্তি সম্পূর্ণ উপেক্ষা ও অগ্রাহ করিতে পারে। বিবাহের পর লীলার সঙ্গে এই প্রথম দেখা, কিন্তু দু-একবার বলি বলি করিয়াও অপু বিবাহের কথা বলিতে পারিল না, অথচ সে নিজে ভালই বোঝে। যে, না বলিতে পারিবার কোন সঙ্গত কারণ নাই। R obr