তাহার নিজের চিঠি কোনদিন থাকে না, সে জানে তাহা কোথাও হইতে আসিবার সম্ভাবনা নাই-কিন্তু শুধু নানা ধরণের চিঠির বাহাদৃশ্যের মোহাঁটাই তাহার কাছে অত্যন্ত প্রবল ৷ একদিন কাহার একখানি মালিকশ্বন্য সাকিমশূন্য পোস্টকার্ডের চিঠি ডেডলেটার অফিস হইতে ঘুরিয়া সারা অঙ্গে ভক্ত বৈষ্ণবের মত বহু ডাক মোহরের ছাপা লইয়া এখানে আসিয়া পড়িল । বহু সন্ধান করিয়াও তাহার মালিক জটিল না। সেখানা রোজ এ-গ্রাম ও-গ্রাম হইতে ঘুরিয়া আসে-পিওন কৈফিয়ৎ দেয়, এ নামে কোন লোকই নাই এ অঞ্চলে। ক্রমে-চিঠিখানা অনাদৃত অবস্থায় এখানে-ওখানে পডিয়া থাকিতে দেখা গেল-একদিন ঘরবােট দিবার সময় জঞ্জালের সঙ্গে কে সামনের মাঠের ঘাসের উপর ফেলিয়া দিয়াছিল, অপু কৌতুহলেব সঙ্গে কুড়াইয়া লইয়া পডিলশ্রীচরণকমলেষু, মেজদাদা, আজ অনেকদিন যাবৎ আপনি আমাদের নিকট কোন পত্রাদি দেন না এবং আপনি কোথায় আছেন, পি ঠিকানা না জানিতে পারায় আপনাকেও আমবা পত্র লিখি নাই । আপনার আগের ঠিকানাতেই এ পত্রখানা দিলাম, আশা করি উত্তর দিতে ভুলিবেন না। আপনি কেন আমাদের নিকট পত্র দেওয়া বন্ধ করিয়াছেন, তাহার কারণ বুঝিতে সক্ষম হই নাই । আপনি বোধ হয় আমাদের কথা ভুলিয়া গিয়াছেন, তাহা না হইলে আপনি আমাদের এখানে না আসিলেও একখানা পত্র দিতে পারেন। এতদিন আপনার খবর না জানিতে পারিয়া কি ভাবে দিন যাপন করিতেছি তাহা সামান্য পত্রে লিখিলে কি বিশ্বাস করিবেন, মেজদাদা ? আমাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কি একেবারেই ফুরাইয়া গিয়াছে ? সে যা হোক, যেরূপ অদৃষ্ট নিয়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছি সেইরূপ ফল ! আপনাকে বৃথা দোষ দিব না। আশা করি আপনি অসন্তোষ হইবেন না । যদি অপরাধ হইয়া থাকে, ছোট বোন বলিয়া ক্ষমা করিবেন। আপনার শরীর কেমন আছে, আপনি আমার সভক্তি প্রণাম জানিবেন, খুব আশা করি পত্রের উত্তর পাইব। আপনার পত্রের আশায় পথ 5ांश्चिा बश्निांभ । छेडि cगदिका কুসুমলতা বস্তু কঁচা মেয়েলি হাতের লেখা, লেখার অপটুত্ব ও বানান-ভুলে ভরা। সহোদর বোনের চিঠি নয়, কারণ পত্রখানা লেখা হইতেছে। জীবনকৃষ্ণ চক্রবর্তী নামের কোন লোককে। এত আগ্রহপূর্ণ, আবেগভন্ন পত্রখানার শেষকালে এই গতি
