সেখানেই থাকিয়া যাইত। এমন সব অপরাহ্রে সেখানে বিশু স্যাকৃরার দোকানেব সান্ধ্য আডায় মহা খুশিতে আজও বসিয়া তাস খেলিত । একথাও প্রায়ই মনে হয়, জীবনকে খুব কম মানুষেই চেনে। জন্মগত ভুল সংস্কাবেব চোখে সবাই জীবনকে বুঝিবার চেষ্টা করে, দেখিবার চেষ্টা করে, দেখাও হয় না, বোঝাও হয় না। তা ছাড়া সে চেষ্টাই বা ক’জন করে ?-- অমরকণ্টক তখনও কিছু দূরী। অপু বলিল, রামচরিত, কিছু শুকনো ডাল আব শালপাত কুড়িয়ে আনা, চা করি। রামচরিতের ঘোবি আপত্তি তাহাতে । সে বলিল, হুজুব এসব বনে বড় ভালুকেব। ভয়। অন্ধকাব্য হবাব আগে আমরকণ্টকেব। ডাকবাংলোয় যেতে হবে। অপু বলিল, তাড়াতাডি চা হয়ে যাবে, যাও না তুমি ; পিবে সে বড লোটাটায় শোনের জল আনিয়া তিন টুকরো পাথরের উপৰ চাপাইযা আগুন জালিল । হাসিয়া বলিল, একটা ভজন গাও বামচরিত, যে আগুন জ্বলেছে, এর কাছে তোমার ভালুক এগোবে না, নির্ভয়ে গাও । জ্যোৎস্না উঠিল। চারিধারে অদ্ভুত, গম্ভীর শোভা । কল্যকার কাব্য-পুরাণের বেশ তাহার মন হইতে এখনও যায় নাই। 1 বসিয়া বসিয়া মনে হইল সত্যই যেন কোন সুন্দরী, চারুনেত্রী রাজবধু—নব-পুস্পিতা মল্লীলতার মত তন্থী লীলাময়ী-এই জনহীন নিষ্ঠুব অরণ্যভূমিতে পথ হাবাইয়া বিপন্নার মত ঘূবিতেছে—তাতার উদভ্রান্ত স্বামী ঘুমন্ত অবস্থায় তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গিযাছে-দূরে ঋক্ষবান পর্বতের পার্শ্ব দিয়া বিদর্ভ যাইবার পথটি কে ऊँशिएल बलिश। द्धि ! অপরাজিত উনবিংশ পরিচ্ছেদ নন-কো-অপারেশনের উত্তেজনাপূর্ণ দিনগুলি তখন বছর তিনেক পিছাইয়া পডিয়াছে, এমন সময়ে একদিন প্রণব রাজসাহী জেল হইতে খালাস পাইল । জেলে তাহার স্বাস্থ্যহানি হয় নাই, কেবল চোখের কেমন একটা অসুখ হইয়াছে, চোখ। কবৃকরু করে, জল পড়ে। জেলের ডাক্তার মিঃ সেন চশমা। লাইতে বলিয়াছেন এবং কলিকাতার এক চক্ষুরোগবিশেষজ্ঞের নামে একটি পত্রও দিয়াছেন। জেল হইতে বাহির হইয়া সে ঢাকা রওনা হইল এবং সেখান হইতে গোল স্বগ্রামে। এক প্রৌঢ় খুড়ীমা ছাড়া তাহার। আর কেহ নাই, বাপ মা শৈশবেই মারা গিয়াছেন, এক বোন ছিল, সেও বিবাহের পর মারা যায়। monom
