মা বলিলেন-ও-কথা তোর ওদেব বলবার দরকার নেই-টিকা দিলি আমি দেবো এখন। ছোট ঠাকুর ঝির দোষ কি, বিধবা মেয়েকে কি বলে আজি সামনে রাখে বল না ? হিন্দুর নিয়মগুলো তো মানতে হবে, সবাই তোমার মত বেহ্মজ্ঞানী হয়নি এখনো । মেয়েটার দোষ দিইনি, তার আর বয়স কিছেলেমানুষ-সে না-হয় অত বোঝে সোবে না, আমোদে নেচে দোর ধরবে বলে দাড়িয়েছে।--তার বাপ-মায়ের তো এটা দেখতে হয় ! শুভকাজের দিন বিধবা মেয়েকে কেন এখানে পাঠানো বাপু ? তা নয়-গরীব। কিনা, পাঠিয়েছে-যা কিছু ঘবে আসে-যাক। আমি দেবো এখন—তা হঁ্যা রে পাঁচটা দিলেই তো ত’ত-এত কেন ? --না মা ঐ থাকৃ। ছোট পিসিমাকে ব’লো বুঝিরে ওতে শুভকাজ এগোয় না, আরোও পিছিয়ে যায়। দু-তিনখানা বাডির মোডে চাটুয্যে বাডিটা । ইহারা সবাই ছাপাখানায় কাজ করে, বুদ্ধ চাটুয্যেমশায়ও আগে কম্পোজিটবের কাজ করিতেন, আজকাল চোখে দেখেন না বলিয়া ছাডিয়া দিয়াছেন। আজকাল তাহার কাজ প্রতিবেশীদের নিকট অভাব জানাইয়া আধুলি ধার করিয়া বেড়ানো ! দেবব্রত ইহাদের সকলকেই অনেক দিন হইতে চেনে। তাহার গোলাপফুল সাজানো মোটরখানা চাটুয্যেবাডির সম্মুখে মোড় ঘূরিবার সময় দেবব্রত কেবলই ভাবিতেছিল, কোনও জানালার ফঁাক দিয়া তের বৎসরের বিধবা মেয়েটা হয়ত কৌতুহলের সহিত তাহদের মোটর ও ফিটন গাড়ির সারির দিকে চাহিয়া VRİçiş রাত্রের গোডার দিকেই বিবাহ ও বরযাত্রীভোজন মিটিয়া গেল । দেবব্রত বাসরে গিয়া দেখিল, সেখানে অত্যন্ত ভিড়-বাসরের ঘর খুব বড় নয়-সামনের দালানেও স্থান নেই, অন্য অন্য ঘরের বাক্স তোরঙ্গ সব দালানে বাহির করা হইয়াছে, অথচ মেয়েদের ভিড এত বেশী যে বসাতো দূরের কথা, সকলের দাডাইবাবি জায়গাও নাই। সে বড় শালাকে বলিল-দেখুন, যদি অনুমতি করেন, একটু ইঞ্জিনীয়ারিং বিদ্যে জাহির করি। এই ট্রাঙ্কগুলো এখানে রাখার কোন মানে নেই।--লোক ডাকিয়ে দেওয়ালের দিকে এক সারি এখানে, আর এক সারি ক’রে দিন সিড়ির ধাপে ধাপে-বুঝলেন না ?--- যাবার আসবারও কষ্ট হবে না। অথচ এদের জায়গা হবে এখন। তাহার ছোট শালীরা ব্যাপারটা লইয়া তাহাকে কি একটা ঠাট্টা করিল। সবাই হাসিয়া উঠিল। রাত্রি একটার পর কিন্তু যে-যাহার স্থানে চলিয়া গেল । দেবব্রত বাসর হইতে বাহির হইয়া দালানের একটা স্ট্রলের তোরঙ্গের উপর বসিয়া একটা RDO
