সারারাত জাগিয়া পড়িয়া ভোরের আগেই তাহা হইলে তুলিয়া রাখে। এ কয়েকদিন বৈকালে দাদামশায় বসিয়া বসিয়া তামাক খান, আর সে পণ্ডিতমশায়ের কাছে বসিয়া বসিয়া পড়ে। সেই সময় পণ্ডিতমশায়ের পেছনকার অর্থাৎ চণ্ডীমণ্ডপের উত্তর-ধারের সমস্ত কঁকা জায়গাটা অদ্ভুত ঘটনায় রঙ্গভূমিতে * পরিণত হয়, ঘটনাটাও হয়ত খুব স্পষ্ট নয়, সে ঠিক বুঝাইয়া বলিতে তো পারে না। কিন্তু দিদিমার মুখে শোনা গল্পের রাজপুত্র ও পাত্রের পুত্রের নামনা-জানা নদীর ধারে ঠিক এই সন্ধ্যা-বেলাটাতেই পৌছায় কোন রাজপুরীকে কঁপাইয়া রাজকন্যাদের সোনার রথ বৈকালের আকাশপানে উঠিয়া অদৃশ্য হইয়া যায়-সে। অন্যমনস্ক হইয়া দেওয়ালের পাশে ঝুকিয়া আকাশটার দিকে চাহিয়া থাকে, কেমন যেন দুঃখ হয়-ঠিক সেই সময় সীতানাথ পণ্ডিত বলেন-দেখুন, দেখুন বঁাডুয্যেমশায়, আপনার নাতির কাণ্ডটা দেখুন, শ্লেটে বুড়কে লিখতে দিলাম, তা গেল চুলোয়-ঠা করে তাকিয়ে কি দেখছে দেখুন-এমন অমনোযোগী ছেলে যদি দাদামশায় বলেন--দিন না ধ্যা করে এক থাপ্পড় বসিয়ে গালে-হতভাগা। ছেলে কোথাকার-হাড় জালিয়েছে, বাবা করবে না খোেজ, আমার ঘাড়ে এ বয়সে যত ঝুকি । তবে কাজল যে দুষ্ট হইয়া উঠিয়াছে, এ কথা সবাই বলে। একদণ্ড সুস্থির নয়, সর্বদা চঞ্চল, একদণ্ড চুপ করিয়া থাকে না, সর্বদা বকিতেছে। পণ্ডিতমশায় বলেন-দেখতে দলু কেমন অঙ্ক কষে ? ওর মধ্যে অনেক জিনিস আছে— আর তুই অঙ্কে একেবারে গাধা। —পণ্ডিত পিছন ফিরিলেই কাজল মামাতোভাই দলুকে আঙ্গুল দিয়া ঠেলিয়া চুপি চুপি বলে,-তো-তোর মধ্যে অনেক জিনিস আছে, কি জিনিস আছে রে, ভাত ভাল খি-খিচুড়ি-খিচুড়ি ? হি-হি ইল্লি ! খিচুড়ি খাবি, দলু ? দাদামশায়ের কাছে আবার নালিশ হয় । তখন দাদামশায় ডাকিয়া শাস্তিস্বরূপ বানান জিজ্ঞাসা করিতে আরম্ভ করেন-বানান কর সূর্য । কাজল বানানটা জানে, কিন্তু ভয়জনিত উত্তেজনায় দরুন হঠাৎ তাহার তোতলামিটা বেশী করিয়া দেখা দেয়-দু’একবার চেষ্টা করিয়াও 'দন্ত স্য’ কথাটা কিছুতেই উচ্চারণ করিতে পরিবে না বুঝিয়া অবশেষে বিপন্নমুখে বলে-তা-তালব্য শয়ে দীঘ্য-উকার BB BDBB gDB D BB S BB BDSLDBDDD DuDB DDB BDD DDD ওঠে, কান পর্যন্ত রাঙা হইয়া যায়। কাজলের ভয় হয় না, একটা নির্ম্মফল অভিমান হয়-বাঃ রে, বানানটা তো সে জানে, কিন্তু মুখে যে আটকাইয়া যায়। OS X,
