অপু তাহাকে ভাকিয়া বাসার মধ্যে লইয়া গেল-ওরকম একলা কোথাও যাস নে খোকা । হারিয়ে যাবি কি, কি হবে। যাওয়ার দরকার নেই। কাজলের দুঃস্বপ্ন কাটিয়া গিয়াছে। আর দাদামশায়ের বকুনি খাইতে হইবে না, এক গিয়া দোতলার ঘরে রাত্রিতে শুইতে হইবে না, মামীমাদের ভয়ে পাতের প্রত্যেক ভাতটি খুঁটিয়া গুছাইয়া খাইতে হইবে না। একটি ভাত পাতের নীচে পড়িয়া গেলে বড় মামীম বলিত-পেয়েছ পরের, দেদার ফেল আর ছাড়াও-বাবার অল্প তো খেতে হ’ল না কখনো ! ছেলেমানুষ হইলেও সব সময় এই খাবার খোটা কাজলের মনে বড় বাজিত। অপু বাসায় আসিয়া দেখিল, কে একখানা চিঠি দিয়াছে তাহার নামেঅপরিচিত হস্তাক্ষর। আজ পাঁচ-ছয় দিন পত্রখানা আসিয়া চিঠির বাক্সে পড়িয়া আছে। খুলিয়া পডিয়া দেখিল একজন অপরিচিত ভদ্রলোক তাহাকে লিখিতেছেন, তাহার বই পড়িয়া অতিশয় মুগ্ধ হইয়াছেন, শুধু তিনি নহেন, তাহার বাড়িশুদ্ধ সবাই-প্রকাশকের নিকট হইতে ঠিকানা জানিয়া এই পত্র লিখিতেছেন, তিনি তাহার সহিত দেখা করিতে চাহেন। দু-তিনবার চিঠিখানা পড়িল। এতদিন পরে বোঝা গেল যে অন্ততঃ একটি লোকেরও ভাল লাগিয়াছে তাহার বইখানা • • • পরের প্রশংসা শুনিতে অপু চিরকালই ভালবাসে, তবে বহু দিন তাহার অদৃষ্ট সে জিনিসটা জোটে নাই-প্রথম যৌবনের সেই সরল হামবড়া ভাব বয়সের অভিজ্ঞতার ফলে দূর হইয়া গিয়াছিল, তবুও সে আনন্দের সহিত বন্ধুবান্ধবদের নিকট চিঠিখানা দেখাইয়া বেড়াইল । পরের দিন কাজল চিড়িয়াখানা দেখিল, গড়ের মাঠ দেখিল। মিউজিয়ামে অধুনালুপ্ত সেকালের কচ্ছপের প্রস্তরীভূত বৃহৎ খোলা দু'টি দেখিয়া সে অনেকক্ষণ DDB DBD DDBB BDD DuD D DDDB S BBB S iiu DBB যাইতেছে, কাজল বাবার কাপড় ধরিয়া টানিয়া দাড় করাইয়া বলিল-শোন বাবা। —কচ্ছপ দুটোর দিকে আঙল দিয়া দেখাইয়া বলিল-আচ্ছ। এ দুটোর মধ্যে যদি যুদ্ধ হয় তবে কে জেতে বাবা ?--অপু গম্ভীর মুখে ভাবিয়া ভাবিয়া বলে-ওই বঁটা দিকেরটা জেতে-কাজলের মনের দ্বন্দ্ব দূর হয়। কিন্তু গোলদীঘিতে মাছের বাক দেখিয়া সে সকলের অপেক্ষা খুশী। এত বড় বড় মাছ আর এত এক সঙ্গে। মেলা ছেলেমেয়ে মাছ দেখিতে জুটিয়াছে বৈকালের সেও বাবার কথায় এক পয়সার মুড়ি কিনিয়া জলে ছড়াইয়া দিয়া অধীর আগ্রহে মাছের খেলা দেখিতে লাগিল। তুমি ছিপে ধরবে বাবা ? কত এবড় বড় মাছ ? আপু বলিল-চুপি চুপং-ও মাছ ধরতে দেয় না। AR
