পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিনিট সাতেক পরে ডাক্তার সাহেব চলিয়া গেলেন। বলিয়া গেলেন-Too late, cकांनस्3 थांबा नांझे | আরও আধঘণ্টা। এত লোক।--অপু ভাবিল, ইহারা এতকাল কোথায় fe P. veter too late too late লীলা মারা গেল বেলা দশটায়। অপু তখন খাটের পাশেই দাড়াইয়া । এতক্ষণ লীলা চোখ বুজিয়াই ছিল, সে সময়টা হঠাৎ চোখ মেলিয়া চাহিল-- তারাগুলা বড় বড়, তাহার দিকেও চাহিল, অপুব দেহে যেন বিদ্যুৎ খেলিয়া গেল-লীলা তাহাকে চিনিয়াছে বোধ হয়।--কিন্তু পবক্ষণেই দেখিল-দৃষ্টি অর্থহীন, আভাহীন, উদাসীন, অস্বাভাবিক। তারপরই লীলা যেন চোখ তুলিয়া কড়িকাঠে, সেখান হইতে আরও অস্বাভাবিকভাবে মাথাব্য শিয়রে কানিসের বিটের দিকে ইচ্ছা করিয়াই কি দেখিবার জন্য চোখ ঘুবাইল-স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষ ওরকম চোখ ঘুৱাইতে পারে না। তারপরেই সবাই ঘরের বাহির হইয়া আসিল । কেবল বিমলেন্দু ছেলেমানুষের মত চীৎকার করিয়া কঁাদিয়া উঠিল। অপু ও ফিরিল। হায়বে পাপ, হায় পুণ্য ! কে মানদণ্ডে তৌল করিবে ? মুর্থ-মূখ-মূখ্য - মূখ-লীলার বিচার করিবে কে ? এই সব মুথের দল ? দুঃখের মধ্যে তাহার হাসি আসিল । অপরাজিত দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ কাজল এই কয়মাসেই বেশ লেখাপড়া শিখিয়াছে । বাডিতেই পড়ে-অনেক সময় নিজের বই রাখিয়া বাবার বইগুলির পাতা উল্টাইয়া দেখে । আজকাল বাবা কি কাজে সর্বদাই বাহিরে বাহিরে ঘুরিয়া বেড়ায়, এই জন্য বাবার কাজও সে অনেক করে । বাসায় অনেকগুলো বিড়াল জুটিয়াছে। সে যখন প্রথম আসিয়াছিল তখন ছিল একটা মাত্র বিড়াল-এখন জুটিয়াছে আরও গোটা তিন । কাজল খাইতে বসিলেই পাতের কাছে সবগুলা আসিয়া জোটে । তাহারা ভাত খায় না, খায় শুধু মাছ। কাজল প্রথমে ভাবে কাহাকেও সে এক টুকরাও দিবে না-করুক। মিউ মিউ। কিন্তু একটু পরে একটা অল্প বয়সের বিড়ালের উপর বড় দয়া হয়। এক টুকরা তাহাকে দিতেই অন্য সবগুলা করুণ সুরে ডাক শুরু করে-কাজল ভাবে-আহা, ওয়া কি বসে ৰসে দেখবে।--দিই ওদেরও একটু একটু। একে VSOSs