পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেড়াইতেছেন। একটা মার্বেলের বড় চৌবাচ্চায় গোটাকতক কুমুদ ফুল, ঠিক মাঝখানে একটা মার্বেলের ফোয়ারা-গৃহকত্রী তাহাকে লইয়া গিয়া জায়গাটা দেখাইলেন, সেটা নাকি তাদের ‘লিলি পণ্ড”। জয়পুর হইতে ফোয়ারাটা তৈয়ারী করাইয়া আনিতে কত খরচ পড়িয়াছে, তাহাও জানাইলেন। পাটির সকল আমোদ-প্রমোদের মধ্যে একটি মেয়ের কণ্ঠ-সঙ্গীত সর্বাপেক্ষা আনন্দদায়ক মনে হইল। ব্রিজের টেবিলে সে যোগ দিতে পারিল না, কারণ ব্রিজখেলা সে জানে না, গান শেষ হইলে খানিকটা বসিয়া বসিয়া খেলাটা দেখিল । চা, কেক, স্যাণ্ডউইচ, সন্দেশ, রসগোল্লা, গল্প-গুজব, আবার গান ! ফিরিবার সময় মনটা খুব খুশী ছিল। ভাবিল-এদের পার্টিতে নেমস্তন্ন পেয়ে আসা একটা ভাগ্যের কথা । আমি লিখে নাম করেছি, তাই আমার হ’ল । যার-তার হোক দিকি ? কেমন কাটল সন্ধ্যেটা । আহা, খোকাকে আনলে হ’ত, ঘুমিয়ে পড়বে এই ভয়ে আনতে সাহস হ’ল না ষে।-খান-দুই কেক খোকার জন্য চুপিচুপি কাগজে জড়াইয়া পকেটে পুরিয়া রাখিয়াছিল, খুলিয়া দেখিল সেগুলি ঠিক আছে কি না। খোকা ঘুমাই যা পডিয়াছিল, ডাকিয়া উঠাইতে গিয়া বলিল, ও খোকা, খোকা, ওষ্ঠ, খুব ঘুমূচ্ছিল যে—হি-হি-ওঠ রে । কাজলের ঘুম ভাঙিয়া গেল। যখনই সে বোঝে বাবা আদর করিতেছে, মুখে কেমন ধরণের মধুর দুষ্টামির হাসি হাসিয়া ঘাড় কাৎ করিয়া কেমন এক অদ্ভুত ভঙ্গী করিয়া আদরের প্রতীক্ষায় থাকে, আর এত আদর খাইতেও পারে। অপু বলিল, শোনা খোকা গল্প করি,-ঘুমূসনেকাজল হাসিমুখে বলে, বলে দিকি বাবা একটা অর্থ ? তাত কন কন মাণিকলতা, এ ধন তুমি পেলে কোথা, রাজাব ভাণ্ডারে নেই, বেনের দোকানে নেইঅপু মনে মনে ভাবে-খোকা, তুই-তুই আমার সেই বাবা। ছেলে বেলায় চলে গিয়েছিলে, তখন তো কিছু বুঝি নি, বুঝতামও না-শিশু ছিলাম! তাই আবার আমার কোলে আদর কাড়াতে এসেছে বুঝি ? মুখে বলে, কি জানি, জাতি বুঝি ? —আহা হা, জাতি কি আর দোকানে পাওয়া যায় না! তুমি বাবা কিছু चक न ভাল কথা, কেক্‌ এনেছি, স্থাখি, বড়লোকের বাড়ির কেকৃত, ওঠ-বাবা তোমার নামে একখানা চিঠি এসেছে, ঐ বইখানা তোলো তোআর্টস্ট বন্ধটির পত্র। বন্ধু লিখিয়াছো-সমূদ্রপারের বৃহত্তর ভারতবর্ষ শুধু vote