পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল, হাওয়ায় আলকাতরা ও গাবের রস মাখানো বড় ডিঙিগুলোর শৈশবের সেই অতি পুরাতন বিশ্বত গন্ধ- নদীর উত্তর পাড়ে ক্রমাগত নলবন, ওকৃড়া ও বন্যে বুডোর গাছ, ঢালু ঘাসের জমি জলের কিনারা ছুইয়া আছে, মাঝে মাঝে ঝিঙে পটলের ক্ষেতে উত্তরে মজুরের টোকা মাথায় নিড়ান দেয়, এক এক স্থানে নদীর জল ঘন কালো, নিথর, কলার পাটির মত সমতল-যেন মনে হয়, নদী এখানে গহন, গভীর অতলস্পর্শ,-ফুলে ভবা উলুখডের মাঠ, আকন্দাবন, ডাসা, খেজুরের কঁাদি দুলানো খেজুর গাছ, উইঢিবি, বকের দল, উচু। শিমূল ডালে চিলের বাসা-সবাইপুরের মাঠের দিক হইতে বড় এক ঝাঁক শামকূট পাখি মধুখালির বিলের দিকে গেল-একটা বাবলাগাছে অজস্র বন-ধুধুল ফল দুলিতে দেখিয়া খোকা আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া বলিল-ওই দেখ বাবা, সেই যে, কলকাতায় আমাদের গলিব মোডে বিক্রী হয় গায়ে সাবান মাখিবাবা জন্যে, क ठे दूलE 6श्र, 6 कि श्व्न दांवों ? অপু কিন্তু নির্বাক হইয়া বসিয়াছিল। কতকাল সে এ সব দেখে নাই ! পৃথিবীর এই মুক্ত ৰূপ তাহাকে যে আনন্দ দেয়, সে আনন্দ উগ্রবীর্য সুরার মত নেশার যোব আনে তাহার শিরাব রক্তে, তাহা অভিভূত করিয়া ফেলে, আচ্ছন্ন করিয়া ফেলে, তাহা অবর্ণনীয়। ইহাদের যে গোপন বাণী শুধু তাহারই মনেব কানে কানে, মুখে তাহা বলিয়া বুঝাইবে সে কাহাকে ? দূব গ্রামের জাওয়া-বাঁশের বন অস্ত-আকাশের রাঙা পটে অতিকায় লায়ার পাখির পুচ্ছের মত খাড়া হইয়া আছে, একধারে উঁচু পাডে সারিবাধা গাঙশালিকের গর্ত, কি অপূর্ব শ্যামলতা, কি সান্ধ্য-শ্রী । কাজল বলিল - বেশ দেশ বাবা-না ? —তুই এখানে থাকু খোকা-আমি যদি রেখে যাই এখানে, থাকতে পারবি নে ? তোব পিসিমার কাছে থাকবি, কেমন তো ? BYY DDDDYLYSB BBDS DDBD D DB S SLDDD BDB BBB যাব বাবা । অপু ভাবিতেছিল। শৈশবে এই ইচ্ছামতী ছিল তার কাছে কি অপূর্ব কল্পনায় ভব। গ্রামেব মধ্যের বর্ষাদিনের জলকাদা-ভরা পথঘাট, বঁাশপাতাপচা আঁাটাল মাটিব গন্ধ থেকে নিস্কৃতি পাইয়া সে মুক্ত আকাশের তলে নদীর ধারাটিতে আসিয়া বসিত। কত বড নৌকা ওর ওপর দিয়া দূর দেশে চলিয়া যাইত। কোথায় ঝালকাটি, কোথায় বরিশাল, কোথায় রায়মঙ্গল-অজানা দেশের অজানা কল্পনায় মুগ্ধ মনে কতদিন সে না ভাবিয়াছে, সেও একদিন ওই রকম নেপাল মাঝির বড় ডিঙিটো করিয়া নিরুদ্দেশ বাণিজ্যযাত্রায় বাহির হইয়া যাইবে । vote