శ్లో না, একেবারে লুপ্ত হইয়া গিয়া সম্পূর্ণ অন্য ধরণের ভাষা এদেশে প্রচলিত তখনও এই রকম বৈকাল, এই রকম কালবৈশাখী নামিবে তিন হাজার বর্ষ পরের বৈশাখ দিনের শেষে ! তখনও এই রকম পাখি ডাকিবে, এই রকম চাদ উঠবে। তখন কি কেহ ভাবিবে তিন হাজার বছর পূর্বের এক বিস্তৃত বৈশাখী বৈকালের এক গ্রাম্য বালকের ক্ষুদ্রজগৎটি এই রকম বৃষ্টির গন্ধে, ঝোড়ো হাওয়ায় কি অপূর্ব আনন্দে দুলিয়া উঠিত-এই স্নিগ্ধ অপরাহ্ তার মনে কি আনন্দ, আশা-আকাঙ্ক্ষা জাগাইয়া তুলিত ? তিন হাজার বছরের প্রাচীন জ্যোৎস্না একদিন কোন মায়াস্বপ্ন তাহার শৈশব-মনে ফুটাইয়া তুলিয়াছিল ? নিঃশব্দে শরৎ-দুপুরে বনপথে ক্রীড়ারত সে ক্ষুদ্র নয়। বৎসরের বালকের মনের বিচিত্র, অনুভূতিরাজির ইতিহাস কোথায় লেখা থাকিবে ? কোথায় লেখা থাকিবে। বিস্ত অতীতে তার সে সব আনন্দভরা জীবনযাত্রা, বিদেশ হইতে বহুদিন পরে বাডি ফিরিয়া মায়ের হাতে বেলের শরবৎ খাওয়ার সে মধুময় চৈত্র অপরাইট, বঁাশবনের ছায়ায় অপরাহের নিদ্রা ভাঙিয়া পাপিয়ার সে মনমাতানো ডাক, কোথায় লেখা থাকিবে বর্ষাদিনের বৃষ্টিসিক্ত রাত্রিগুলির সে-সব আনন্দ-কাহিনী । দূর ভবিষ্যতের যেসব তরুণ বালকবালিকাদের মনে এইসব কালবৈশাখী নব আনন্দের বার্তা আনিবে, কোন পথে তারা আসিবে ? বাহির হইয়া আবার সে ফিরিয়া চাহিল । সারা ভিটার উপর আসন্ন সন্ধ্যা এক অদ্ভুত, করুণামাখা ছায়া ফেলিয়াছে, মনে হয়, বাড়িটার এই অপূর্ব বৈকাল কাহার জন্য বহুকাল অপেক্ষা করিয়া করিয়া ক্লান্ত, জীর্ণ, অবসন্ন ও অনাসক্ত হইয়া পড়িয়াছে।--আর সাডা দেয় না, थic डांस नांझे । বার বার করিয়া ঘুলঘুলিটার কথাই মনে পড়িতেছিল। ঘুলঘুলি দুটা এত ভাল আছে এখনও, অথচ মানুষেরাই গেল চলিয়া ! সে নিশ্চিন্দিপুরও আর নাই। এখন যদি সে এখানে আবার বাসও করে সে অপূর্ব আনন্দ আর পাইবে না-এখন সে তুলনা করিতে শিখিয়াছে, সমালোচনা করিতে শিখিয়াছে, ছেলেবেলায় যারা ছিল সার্থী--(এখন তাদের সঙ্গে আর অপুর কোনদিকেই মিশ খায় না-তাদের সঙ্গে কথা কহিয়া আর সে সুখ নাই, তারা লেখা পড়া শিখে নাই, এই পচিশ বৎসরে গ্রাম ছাড়িয়া অনেকেই কোথাও যায় নাই-সবারই পৈতৃক কিছু জমি-জমা আছে, তাহাই হইয়াছে তাদের কাল। তাদের মন, তাদের দৃষ্টি পচিশ বৎসর পূর্বের BB DBBDBDDDBDB BDD DBDDLu DBuB ESBBDD DDBB BiBB DDD erg
