পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BDB S DDD DBDD BB LuBBYiDBDBD DBB BDBDD KBB DDD S DBB হইলেও আসলে নীহারিকা। সে একটা দুরবীন পাইলে দেখিবার চেষ্টা করিত। যাহা হউক, আপাততঃ আমবাগানটা তাড়াতাড়ি পার হইয়া যাওয়া ভাল। সন্ধ্যা হইয়া আসিতেছে । বাড়ী ঢুকিলে ।রাণী বলে—এতক্ষণ ছিলি কোথায়, হারে-ও খোকন ? এই রাতবিরেতে কি বাইরে বেড়াতে আছে বাবা ? কোথায় ছিলি ? কাজল আরক্ত মুখে আমতা আমতা করিয়া বলে—এই একটি ঐ পুরানো डिश রাণী আর প্রশ্ন করে না । তাহার হঠাৎ সমস্ত ব্যাপারটা কেমন সুন্দর লাগিতে থাকে। খোকন চিনিয়া লইয়াচে আপনার সঠিক স্থান। রক্তের ভিতরকার অমোঘ আকর্ষণ তাহাকে টানিয়া লইয়া গিয়াছে পবিত্র তীর্থে। ঐতিহ্যের ধারায় গতি ধীর-কিন্তু অনিবার্য । এ ভিটাকে ফেলিয়া তাহারা কেহ কোথাও থাকিতে পারে নাই । অপু গিয়াছিল। চলিয়া-সে-ও কি বেশীদিন পারিল দূরে থাকিতে ? বংশের সন্তানের হাত ধরিয়া আবার তো সেই ফিরিয়া আসিতে হইল। কি যে টান রহিয়া যায়, তাহত রাণী ব্যাখ্যা করিতে পারে না । হয়তো এতদিনে মণিকণিকার ঘাট হইতে হরিহরের দেহাবশেষ বাতাসে ভাসিয়া অন্ধসংস্কারে ফিরিয়া আসিয়াছে নিশ্চিন্দিপুরে । সর্বজয়ার অদৃশ্য উপস্থিতি হয়তো এখনও ভিটার অণুতে অণুতে। গোবৎস যেমন জন্মগ্রহণ করিয়াই ঠিক মাতৃস্তন্য খুজিয়া লয়—তাহাকে চিনাইয়া দিতে হয় না, কাজলকেও তেমনি কোন নির্দেশ দিতে হয় নাই । সমস্ত বিশ্বজগৎটা একটা নিয়মের শৃঙ্খলে বাধা পড়িয়া গিয়াছে। কাহাকেও কিছু বলিতে হয় না। -করাইয়া দিতে হয় না। সব ঠিক ঠিক চলে। মাস দুই পরের কথা। গরম বেশ পড়িয়াছে। আজ আহার করিতে একটু বেলা হইয়াছিল। রাণী এখনও কাজলকে বাহির হইতে দেয় নাই, বিশ্রামের জন্য নিজের কাছে শোয়াইয়া রাখিয়াছে। কাজল কান্ত হইয়া শুইয়া পা দুইটা পিসির গায়ে তুলিয়া দিয়া গল্প শুনিতেছিল। রাণীর হইয়াছে বিপদ-যতই গল্প চলুক, কাজলও ঘুমায় না।--তাহারও ঘুম হয় না। এমন সময় বাহির হইতে কে ডাকিল।--শ্রীমান অমিতাভ রায়, চিঠি আছে-অমিতাভ রায়। কাজল প্রথমটা বিশ্বাস করে নাই- নিশ্চয়ই ভুল শুনিয়াছে। তাহাকে চিঠি লিখিবে কে ! দৌড়াইয়া চিঠিটা নিতে গেল সে। বেশ মোটা কাগজে রঙীন খামের 》邻