পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাবার হাত ধরিয়া কাজল হঁটিতেছিল। বাবা আজ এত গম্ভীর কেন ? কি একটা প্রাণী সুড়ৎ করিয়া রাস্ত পার হইল, অন্ধকারে দেখা গেল না। হয়তো মেঠো ইদুর। বাড়ী ফিরিতেই হৈমন্তী বলিল-তোমাকে বলে আর পারা গেল না। এত দেরী করে ফিরতে হয় । খাবার। এদিকে জুড়িয়ে ঠাণ্ডা হয়ে গেল অপু কাজলের হাত ছাড়িয়া দিয়া অদ্ভুত ছেলেমানুষির সুরে বলিল-আব কববে না। হৈমন্তী, সত্যি বলছি।--আর কখনো না রাত্রে শুইয়া অপু, হৈমন্তীকে ডাকিল—হৈমন্তী ! -कि 6शों ? —বাইরে কেমন জ্যোৎস্না উঠেছে দেখেছি ? সুন্দর জ্যোৎস্না উঠানটা ভাসিতেছে । অষ্টমী তিথি, চাদ দিগন্তের দিকে ঝুকিয়া পডিয়াছে। বিষন্ন, অথচ সুন্দর জ্যোৎস্না। ?श्शल्यै दलिल-श्माझ । w -চল, একটু বাইরে গিয়ে বসি ।। ঘরে ভাল লাগছে না। ঘুমন্ত কাজলের চারপাশে মশারী গুজিয়া দিয়া দুইজনে উঠানে গিয়া বসিল। শব্দহীন রাত্রি। চাঁদের আলোয় একটু বসিলেই কেমন-একটা আবেশ জডাইয়া আসে দেহে-মনে । -হৈমন্তী, কাল আমার উপন্যাস শেষ হয়ে যাবে। বড় ভাল লাগছে। যা লিখতে চেয়েছিলাম-ঠিক সেই রকমটি হোল না, কিন্তু অনেকখানি পেরেছি বলে মনে হচ্ছে { কাছেই কোথাও ঝিকি ডাকিতে শুরু করিল। —ছোট বেলায় দূরে তাকিয়ে ভাবতাম, ঐ যেখানে আকাশ আর মাটি মিলেছে, তার ওপারেই আছে রূপকথার ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমীর দেশ । তেমনি আমার লেখায় একটা দূৱ দিগন্তের ইঙ্গিত রয়েই গেল। সারাজীবন আমিও এগুলাম, স্বপ্নটাও মরিচীকার মত পিছিয়ে গেল । হৈমন্তী অপুর হাটুতে হাত রাখিয়া বলিল-তোমার জীবনে কি কোনো क्षुःश्र ख्षांप्छ ? --না, আমি পরিপূর্ণ, আমি তৃপ্ত। কারণ আমি বুঝেছি। সন্ধানেই আনন্দ, প্রাপ্তিতে পরিসমাপ্তি । আমি পথ চলতে ভালবাসি হৈমন্তী। আমি পথের cशय bीछे ना । দুইজনে কোন কথা না বলিয়া বসিয়া রহিল। ঝিঝির ডাকের বিরাম নাই। চাদ ইউক্যালিপটাস গাছ দুইটার মাঝখান দিয়া ধীরে নামিয়া Wy2