পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড ব্যথা করছে, ডুবিয়ে রাখব। কাজ মিটয়া গেল। সামনে আর বড় কোন কাজ নাই। অপু আপন মনে বেড়াইতেছিল। ছেলেবেলাকার অভ্যাসমত হাতে সরু কিঞ্চির মত এক লাঠি লইয়াছে। অনেকক্ষণ ঘূরিবার পর মনে হইল, সে আজ ভীষণ অন্যমনস্ক। অনেক পুরাতন কথা মনে পড়িতেছে। অনেক পুরাতন মুখ। অপর্ণার কথা বড় বেশী মনে আসিতেছে। তাহাকে কিছু দেওয়া হয় নাই-তখন অপুর পয়সা ছিল না। অথচ অপর্ণ হাসিমুখে অবস্থার সহিত খাপ খাওয়াইয়া নিয়াছিল- কখনো অভিযোগ করে নাই। বড় সিঁদুরের টিপ-পরা অপর্ণার সলজ্জ মুখখানি আজ অনেকদিন বাদে মনে পডিয়া গেল। তাহার চিবুকের টোলটা সে স্পষ্ট দেখিতে পাইতেছে। কাশীতে যখন বাবা মারা যায়-উঃ, কি দিন গিয়াছে ! কনকনে শীতের রাত্রে সেই গঙ্গাস্বান করিয়া বাড়ী ফেরা । সবার হইতে বেশী মনে পড়ে মাকে । কখনো কিছু চায় নাই, আশা করে নাই। অপু সুখে থাকিলেই সুখী হইত। মনসাপোতার বাড়ীতে ফিরিয়া তাহার প্রতি ছাত্রীর অভিভাকদের সদয় ব্যবহারের কথা সে মাকে খুশী করিবার জন্য বানাইয়া বানাইয়া বলিত । মা সরল মনে সব বিশ্বাস করিত । ছিন্নবেশ-পরা মায়ের হাস্যময়ী চেহারা মনে পড়িয়া যায়। ঘুরিতে ঘুরিতে সুবর্ণরেখার তীরে আসিয়া পড়িয়াছে অপু। বসিলে মন্দ হয় না। যে পাথরটার উপর বসিয়া সে লিখিত জুতা ছাড়িয়া তাহার উপর অপু বসিল। জনপ্রাণী নাই কোনদিকে। সুবর্ণরেখার শূন্য বুকটা খা খা করিতেছে । কয়েকটি বক একপায়ে নদীর চরে ধ্যানমগ্নের মত দাড়াইয়া। সূর্য যেন জলিতেছে। অপুর মনে হইল, সবদিকে কেমন-একটা নাই-নাই ভাব। আকাশ রিক্ত। এতটুকু মেঘ নাই। নদীর বুক রিক্ত-জল নাই। দিগন্তু পর্যন্ত প্রান্তর রিক্ত, নদীর ওপারে কেবল একটিমাত্র গাছ-পলাশ গাছ বিপুল একটি প্রাকৃতিক কবিতার যতি-চিহ্নের মত সোজা মাথা তুলিয়া আছে। গাছটার সর্বাঙ্গে যেন আগুন । নিঃস্ব প্রান্তরের পটভূমিতে পুষ্পিত পলাশ “গাছটাকে সামান্য একটুকু সাত্বনার মতো দেখাইতেছে। LBBD DBBDB BB DBDBDDB DB BBD DBD DBDDD DBDuD DDDB কিনিয়া গ্রামের পথে হাঁটিয়া মনসাপোতায় ফিরিয়াছিল। দরজা খুলিয়া BLBuB BBBBBDtt DD u BD D DDBDBDSS DBDS BDDDDB DBDDBD BDBBDB /কেমন সুন্দর গন্ধ পাওয়া যাইত মায়ের গায়ে । মাকে মনে পড়িতেছে। ছোটবেসায় মা তাহাকে পাঠশালায় যাইবার জন্য ቆeኪም