হ্যা, এই চার বৎসরে রামদাস অনেক ঘুরিয়াছো-অনেক নূতন জায়গা দেখিয়াছে। এক স্থানে সে বেশীদিন থাকিতে পারে না, প্রাণ পালাই-পালাই করে। দুনিয়াটা যদি ঘুরিয়াই না দেখিবে, তবে ঈশ্বর তাহাকে চোখ দুইটা দিয়াছেন কি প্রয়োজনে ? একবার তাহার এক সাকরেদি জুটিয়াছিল। সে জোগাড় করে নাই, লোকটা জুটিয়া গিয়াছিল। ভক্তিভাবের কথা বলে, গদগদ কণ্ঠস্বর। দিন সাতেক ছিল সঙ্গে। এক শহরে কোন এক বড়লোকের বাড়ী গান করিয়াছিল রামদাস । তাহারা খুশি হইয়া রামদাসকে একখানা নূতন কাপড় দিয়াছিল। রাত্রে সামান্য আহার করিয়া দুই জনে একটা হাট-চালায় শুইয়াছিল। পরদিন সকালে ঘুম হইতে উঠিয়া দেখে সাকরেদটি উধাও --নাতন কাপড়খানাও নাই । কাজল বলিল—তুমি কি করলে তখন ? --কি আর কোরব ? ভারী দুঃখ হ’ল মনে । কাপড়টা চেয়ে নিতে পারতো আমার কাছ থেকে, আমি দিয়ে দিতাম। অনর্থক চুরি করে সে পাপের ভাগী হলো । --তোমার রাগ হলো না ? --না। বাবাজী। তার নিশ্চয়ই আমার চেয়ে বেশী দরকার ছিল, নইলে সে মেবে কেন ? তবে আমাকে বললেই পারতো। মানুষের অসাধুতা দেখলে বড় কষ্ট পাই মনে। কি লাভ অসাধুতায় ! সেই তো একদিন সবকিছু ছেড়েছুড়ে বেরিয়ে পড়তে হবে চিরদিনের জন্য, তবে আর কেন পিছনে কুকীতি রেখে যাওয়া ? রামদাস বিদায় লইবার আগে কাজল তাহাকে বলিল-তুমি মাঝে মাঝে আসবে তো রামদাস কাক ? আমাদের বাড়ী তো চেনা হয়ে গেল । —বলতে পারি না বাবাজী । কখন কোথায় থাকি তার তো ঠিক নেই। আজ এখানে আছি, কাল থাকব। আর এক জায়গায়। দেখ না, সেই মাধবপুরের মাঠের পর আবার কতদিন বাদে আমাদের দেখা হলো । --তুমি বোধহয় কাউকেই বেশী ভালোবাসে না। রামদাস কাকা, তাহলে কি না দেখে থাকতে পারতে ? খালি ঘুরে ঘুরে বেড়ালে কি আর একজনকে छांदृलांदांनां श्रांश? প্রশ্নটা শুনিয়া রামদাস কেমন অন্যমনস্ক হইয়া গেল, আনমনে খঞ্জনীতে DD BDBDBD BDB BDDDS DBDB DDD SiBBDDB DD DS DBB মুখটা এদিকে ফিরাইয়া রামদাস বলিল-একজনকে ভালোবাসার জন্য তো
