পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৮০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরপতি তাকাইয়া চিনিবার চেষ্টা করিলেন। বলিলেন-কে ? হৈয় ? -ईJi दांव, अभि । 설 সুরপতির কথা বলিতে কষ্ট হইতেছিল অস্বাভাবিক স্বরে বলিলেন-কঁাদিস নে, তোদের কাল্লা দেখিলে আমি মনে জোর পাই নে । কান্নার বেগটা হৈমন্তী জোর করিয়া দমন করিল। --তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেবো বাবা ? মাথা নাড়িয়া সুরপতি সম্মতি দিলেন। হৈমন্তী মাথায় হাত বুলাইয়া দিতেছে, এমন সময় সুরপতি হঠাৎ বলিলেন--দাদু কই ? --কাজল কলেজে গিয়েছে। বাবা । কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া সুরপতি বলিলেন-হৈম, দ্বাদু খুব বড় হৰে, দেখে নিস। ও অন্য রকম --তুমি ঘুমোও বাবা, কথা বোলো না—আমি বলে গেলাম হৈম, তুই মিলিয়ে নিস। একটু পরে সুরপতি বলিলেন-গায়ে চাদর দিয়ে দে, আমার শীত করছে। একদিন মাঝরাত্রে ঘুম ভাঙিয়া কাজল শুনিল পাশের ঘর হইতে দ্বাদুর ক্ষীণ গলার স্বর ভাসিয়া আসিতেছে। দাদু কি বলিতেছেন, কেহ উত্তর দিতেছে না। মশারী তুলিয়া কাজল সুরপতির ঘরে গিয়া দাড়াইল। প্রথম-রাত্রে সরযুৱ জাগিয়া থাকার কথা, অতিরিক্ত ক্লান্তিতে সে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। পর পর কয়েকরাত্রি জাগিয়া দিদিমাও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কোথাও কেহ নাই, সমস্ত বাড়ীতে নীরবতা খা-খা করিতেছে। সুরপতির মাথা বালিশ হইতে নিচে বিছানার চাদরে গড়াইয়া পড়িয়াছে। মাথা তুলিবার বারবার চেষ্টা করিয়াও পারিতেছেন না। কাজলকে দেখিয়া বলিলেন-মাথাটা তুই বালিশে তুলে দিয়ে যা দাদু, কেউ তো আসছে না। কাজলের বড় খারাপ লাগিল। জীবনের পরিণতি যদি এমনি হয়, তবে মানুষ বঁাচে কিসের আশায় ? যৌবন অতিক্রান্ত হইবার আগেই তো আত্মহত্যা করা উচিত। পরবর্তী দুর্দশার হাত হইতে রেহাই পাইবার জন্য। পরের দিন সকালে সুরেশান্ডাক্তার বলিলেন, দিন কাটে কিনা সন্দেহ । কাজল কলেজ এবং প্রতাপ অফিস কামাই করিয়া বাড়ীতে থাকিয়া গেল । দুপুরে অনেক মাছ রান্না হইয়াছিল-সূরযু আর হৈমন্তী পরামর্শ করিয়া কাজটা করিয়াছিল। অন্য দিন হইতে বেশী মাছ দেখিয়া দিদিমা বলিলেন-এত মাছ কেন য়ে ?