বর্তমানের চেয়ে বেশী ভয়ঙ্কর আর কি হতে পারে ? তবুও অমিতাভ আমার মন চায়, একটা-কিছু অর্থ থাকুক। এ-সবের। কিন্তু আমি জানি, সমস্ত জিনিসটা signifies nothing-Gre sound fives, GS-1 fury, at f : অকস্মাৎ আদিনাথবাবু হো-হো করিয়া হাসিয়া উঠিলেন। হাসিতে छानिgङ বুলিলেন—ওসব চিন্তা একদম বাদ দিয়ে দিয়েছি। এককালে খুব শাবতাম, বুঝলি ? এখন তোদের জন্যেই বেঁচে আছি বলতে পারিস। তোরা মানুষ হবি বড় হাবি-বিশ্বাস কাবু, আমার খুব ভাল লাগবে দেখতে। আপনি পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন। সারা ? —তুই বিশ্বাস করিস ? -করতে ইচ্ছা হয়, পাবি না । -কেন ? -বুদ্ধি দিয়ে যাচাই করে দেখলে কোনো মানে হয় না বলে। -বুদ্ধি দিয়ে যা বোঝা যায় না, তা মিথ্যে ? --তাকে হৃদয় দিয়ে মেনে নেওয়া যায়, বাস্তবে স্বীকার করা যায় না । —স্বীকার না করায় বাহাদুরি কি আমিভাভা ? তাতে তো শুধু কষ্ট -কষ্ট তো বটেই মাস্টারমশাই । স্বীকার না করায় কিছু বাহাদুরি নেই, আমি বিশ্বাস করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। কিন্তু বুদ্ধিতে বাধা দেয় ষে । --অমিতাভ, আমি তোকে আশীৰ্বাদ করি, তোব জীবনে যেন বিশ্বাস আসে, তুই যেন কখনো পরাজিত না হোস। —শুধু বিশ্বাস দিয়ে কি হবে সার, যদি আসলে কোনো অর্থ না থাকে ? শূন্যতায় বিশ্বাস করা কি নিজেকে ঠকানো নয় ? আদিনাথবাবু কাজলের কঁাধে হাত দিয়া একটা বাকুনি দিলেন, তারপর বলিলেন-তবু সে নিছক sound আর fury থেকে ভালো । বড় হয়ে তোর মনে হবে, বিশ্বাসের একটা মূল্য আছে। মনে হবেই দেখিস । আদিনাথবাবুর সঙ্গে কাজলের এই শেষ দেখা। এর কিছু দিন বাদেই তার মৃত্যু হয়। ব্যোমকেশ হঠাৎ আসিয়া খবরটা দিয়াই আবার চলিয়া গিয়াছিল। রাত্রে বিছানায় শুইয়া পরদিন আদিনাথবাবু আর ঘুম হইতে ওঠেন নাই। ঘুমের ভিতরেই তাহার মৃত্যু হইয়াছিল। সংসারের জন্য একপয়সাও রাখিয়া যাইতে পারেন নাই, কিন্তু দেনা পাই-পয়সা পর্যন্ত মিটাইয়া দিয়াছিলেন । ১৯৩৯ খ্রীষ্টাব্দের পয়লা সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়-বিশ্বযুদ্ধের শুরু। ৩রা সেপ্টেম্বর ব্রিটেন এবং ফ্রান্স যুদ্ধে নামিল। ১৮ই সেপ্টেম্বরের ভিতর পোল্যাণ্ডের পতন SV
