পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৮১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৈমন্তী কাজলকে বুকের কাছে লইয়া মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে তাহার রঙীন শৈশবের গল্প করে। ভারী সুন্দর ছিল সে-সমস্ত দিন। কত জায়গায় ঘুরিয়াছে বাবার সঙ্গে । এক জায়গায় সংসার পুরাতন হইতে না হইতেই সব-কিছু গুটিাইয়া আবার নতুন স্থানে যাত্রা শুরু হইত। জামালপুরে তাহদের পাশের বাড়ীর সেই সুমিত্রাদি কি ভালোই না বাসিত তাহাকে । স্বামী রাত্রে মদ খাইয়া বাড়ী ফিরিত, হুস থাকিত না । সুমিত্রাদি জামাকাপড় ছাড়াইয়া বিছানায় শোওয়াইয়া বাতাস করিয়া ঘুম পাডাইত। একদিন অভিযোগ কবিতে গিয়া কি মারটাই না। খাইয়াছিল স্বামীব হাতে। হৈমন্তীকে ডাকিয়া সে একদিন গহনাপত্র দেখাইয়াছিল। শখ করিয়া কত৷-কিছু গাডাইয়াছিল সুমিত্রাদি, খুব শখ ছিল ভালো করিয়া সংসার কবিবে। হয় নাই। মাতাল অপদার্থ স্বামী কোথা হইতে আর একজনকে বিবাহ করিয়া আনিল। অনেকদিন বাদে সুমিত্রাদি গেল পাগল হইয়া। তাহাকে বাপের-বাড়ী পাঠাইয়া দেওয়া হইল। সুমিত্রাদি আর সারিয়া ওঠে নাই, তাহার সংসার করিবার সাধ পূর্ণ হয় নাই। SiTBB DDD DDD S OBBD SDDBDBBDBDBDSDBD BDBDS BD BD দিদি সারাদিন এ-বাগানে ও-বাগানে ঘুবতাম চালতে কবমচার খোজে। এক বুড়োর বাগানে লুকিয়ে ঢুকেছিলাম। বুডো দেখতে পেয়ে আমাদের ডেকে বলল-লুকিয়ে নিচ্ছ কেন খুকীরা, যত ইচ্ছে নিয়ে যাও, কেউ কিছু বলবে না। কোথায় থাকো মা তোমরা ? কাজলের মায়ের জন্য দুঃখ হয়। মা জীবনে কিছু পায় নাই। কত অল্প বয়সে বিধবা হইয়াছে, এখন পুরাতন স্মৃতিমন্থন করিয়া দিন কাটায়। বাবা মারা যাইবার পর হইতে কি-ই বা রহিয়াছে! একটা বড় রকমের কিছু করিয়া মাকে খুশী করিতে হইবে। সে বলে--একটা গল্প শুনবে মা ?

  • -কি গল্প রে খোকন ?

সে ফিয়োদির সোলোগাব-এর ‘’দি হুপ” গল্পটা মাকে বলে । সোলোগাব। এমন-কিছু বড় সাহিত্যিক নয়। কিন্তু গল্পটা তাহার খুব ভালো লাগিয়াছিল। আশি বছরের এক বৃদ্ধের গল্প। মায়ের সহিত বাচ্চাকে হাটিয়া যাইতে দেখিয়া বৃদ্ধের শিশু হইতে ইচ্ছা করিয়াছিল। বাচ্চাটি বেশী দূরে গিয়া BBDD D LDBB DBDBBLYJiSqqiBDB D DDS BD DDD S SSBBLDB D বৃদ্ধ কাজ কামাই করিয়া সারাদিন বালকের মত নির্জন পাহাড়ের ধারে খেলিয়া বেড়াইল। বৃন্ধের কেহ ছিল না। শৈশবে সে মায়ের স্নেহ পায় নাই। অশক্ত শরীরে পাহাড়ের পথে দৌড়াইতে দৌড়াইতে কেবলই তাহার মনে à Rt