পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৮১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাতে সুখ-দুখ সবাই সেখানে ধরে। দেখবি, দুঃখ আর সুখ তুল্যমূল্য হয়ে গেছে -দুঃখের জন্য আর কোন কষ্ট নেই। কাজলের মনে হইল, মা এইভাবে দুঃখকে জয় করিয়াছে। সুখ আর দুঃখের বিরাট ভার মনের ভিতর জমা করিয়া দুইটাকে এক করিয়া দেখিতে সক্ষম হইয়াছে মা-এইটাই মায়ের স্থৈার্যের মূলকথা । পবমেশ বলিল-কি অমিতাভ, চুপ করে আছ যে ? কাজল মুখ তুলিয়া তাহার দিকে তাকাইতে সে অবাক হইল। পূর্বের সে আশাহত পাগুর ভাবটা কাটিয়া গিয়া নুতন একটা উদ্যামের আলো কাজলের মুখে প্রতিফলিত হইয়াছে। চোখদুটো চকচক কবিতেছে। --তোমাকে বেশ উত্তেজিত বলে মনে হচ্ছে । —পরমেশ, আমি বোধহয় ভুল করছিলাম। জীবনের অর্থ হয়তো সত্যিই নেই-আমার এক মাস্টাবমশাই বলতেন, জীবন শুধুই sound আর fury, আর কিছু নয়। শেকসপীিয়রই হয়তো ঠিক, তবু বেঁচে থাকার মানে একটা খুঁজে বের করবোই পরমেশ । লোক-ভুলানো দর্শন নয়, বাস্তবে একটা কিছু দিয়ে যাবে পরমেশ কাজলেব হাত চাপিয়া ঋরিল -আমি বিশ্বাস কবি অমিতাভ, তা তুমি পারবে —আমাকে দূরে চলে যেতে হবে মানুষের থেকে, আরও বেশী করে মানুষের ভেতর ফিরে আসার জন্য। আমি পেছনে হাটবো পরমেশ । দুইজনে স্থাটিয়া মিউজিয়ামে গেল। পাবমেশ জানে, কাজল সঙ্গে থাকিলে মিউজিয়াম দেখার আলাদা আনন্দ । বেলা গড়াইয়া বিকালের দিকে ঝুকিয়াছে। মিউজিয়ামে লোক প্রায় নাই বলিলেই হয়। বড় বড় মূর্তি এবং দুস্তপ্রাপ্য অনেক বস্তু বোমার ভয়ে মাটির নিচে পুতিয়া ফেলা হইয়াছে। BBD BB DDDSDDD DD S পরমেশ বলিল-অনেক কিছু নেই-“রিপ্লোড'-লেখা টিকিট পড়ে আছে। -ইউনিভাসিটিও বহরমপুবে উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, জান না ? বহুদিন বাদে কাজলের মনে আবার পুরাতন আনন্দটা ফিরিয়াছে। মিউজিয়াম হইতে বাহির হইয়া দেখিল রৌদ্র পড়িয়া গিয়াছে, শীতকালের বেলা নাই বলিলেই চলে। গেটের সামনে ফুটপাতের উপর ইটের বেড়া দিয়ে ঘেরা কৃষ্ণচুড়া গাছ। তাহার ডালগুলি অন্তদিগন্তের পট আঁকা বলিয়া মনে হইতেছে। বাতাস নাই, সব নিঝুম । সন্ধ্যার কেমন একটা বিষন্নতা R