পাতা:অপূর্ব্ব দেশভ্রমণ - প্রথম ভাগ.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ অবাকৃপুরদর্শন। লোহার থীম অর্থাৎ পিস্তল চাছিলেন । আমি পিস্তল বাহির করিলাম এবং যতদূর পরিলাম তাছাকে ইহার ব্যবহার বুঝাইয়া দিলাম। পিস্তলটিতে কিঞ্চিৎ বাৰুদ গাদিলাম ; এবং প্রথমে রাজাকে সতর্ক করিয়া দিয়া ভয় পাইতে নিষেধ করিলাম ; পরে আকাশে লক্ষ করিয়া শব্দ করিলাম । শব্দ শ্রবণে সকলে তরবারি দর্শনাপেক্ষা অধিক চমৎকৃত হইল। শত শত লোকে মৃতপ্রায় হইয়া ভূমিতে পড়িয়া গেল ; এবং রাজা মহাশয়, যদিও তিনি বসিয়াছিলেন, কিছু হতজ্ঞান হইয়াছিলেন । আমি আমার পিস্তলদ্বয়ও তাছাকে অপর্ণ করিলাম ; এবং বাৰুদের থলে দিবার সময় বলিয়া দিলাম যে তা হাতে কোন প্রকারে অগ্নি না লাগে । কছিলাম, যে ইহাতে একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ লাগিলেই সমুদায় রাজবাটা উড়িয়া যাইবে । আমি এই রূপে আমার ঘড়িটিও তাছাকে দিলাম । তিনি দুইজন বলশালী যোদ্ধা পুৰুষকে আদেশ দিলেন, যে তাহার। একটা বংশের মধ্যস্থানে ঘড়িটি বন্ধন করতঃ দুইধারে দুই জনের স্কন্ধ লগাইয়া তাছার নিকট বহিয়া লইয়া আইসে । ভগছারা তদ্রুপ করিলে পর, তিন ইছার অনবরত শব্দ শুনিয়া ও ক্ষুদ্র কাটার দ্রুতগতি দেখিয়া অতিশয় চমৎকুত হইলেন । রাজা তাহার প্রধান প্রধান পণ্ডিত দিগকে ইহার বিষয় জিজ্ঞাসা করিলেন । সকলেই ভিন্ন ভিন্ন প্রকার কহিল ; আমি তাম্বর সকল্প বুঝিতে পারলাম না।