তৃতীয় অধ্যায়। । '85 যে আমি উহার বিপক্ষাচরণ করিব না। রাজসভার তিন চারি জন প্রধান প্রধান লোক ঐ পত্র লইয়া আমার নিকট আসিল ও পাঠ করিল। আমি শুনিলাম। তাহারা প্রথমে আমার দেশের প্রথানুসারে আমাকে শপথ করিয়া বলিতে বলিল, যে আমি পত্রোল্লিখিত বিষয়ে বিপক্ষাচরণ করিব না । আমি তাছাই করিলাম। তাহার পর তাছার তাছাদের দেশের প্রথা দেখাইয়া তদনুসারে দিব্য করতে বলিল । আমি তাছাই করিলাম । আমার সহিত সন্ধিস্থাপনের নিমিত্ত যে সকল নিয়ম লিখিত হইয়াছিল তাছা সাধারণের বোধগম্যার্থ নিম্নে অনুবাদ করিয়া দিলাম । অবাকৃপুরীর সর্বশক্তিমান সম্রাটু, যিনি পৃথিবীর আনন্দ ও ভয় স্বরূপ, র্যাহার রাজত্ব রাজধানীর চতুর্দিকে ছয় ক্রোশ পর্যন্ত বিস্ত ত, (তাহদের মতে পৃথিবীর শেষ পর্য্যন্ত সমুদায় রাজত্ব র্তাহার অধীন, অর্থাৎ তিনি সার্ব্বভৌম সম্রাট) যিনি সকল রাজার রাজা, মনুষ্য মধ্যে সর্বাপেক্ষ দীর্ঘ, যাহার পদদ্বয় পৃথিবীর মধ্যস্থলে রহিয়াছে ও মস্তক স্থর্য্যমণ্ডলভেদ করিয়া উঠিয়াছে, যশস্থাকে সকল দেশের রাজা জানু পাতিয়া করযোড়ে উপাসনা করে, যিনি ৰসন্তকালের ন্যায় আনন্দ জনক, গ্রীষ্মকালের ন্যায় মুখকর, শরৎকালের ন্যায় ফলপ্রদ ও শীতকালের ন্যায় ভয়স্কর, সেই সর্ব্বোচ্চ সর্ব্বশক্তিমান সম্রাট, নরপর্বতকে এই আদেশ করিতেছেন, যে নরপর্বতকে কিছুদিন হুইল
পাতা:অপূর্ব্ব দেশভ্রমণ - প্রথম ভাগ.pdf/৪৮
অবয়ব