পঞ্চম অধ্যায় । « ጫ পাঠকগণের বোধ হয় স্মরণ থাকিবে, যে আমার মুক্তির সময়ে আমার সহিত যে সন্ধিস্থাপন হইয়াছিল তাই আমার পক্ষে দাসত্বভাবের বোধ হওয়াতে আমি তাহাতে অনিচ্ছা পূর্বক সম্মত হইয়াছিলাম। এখন ভদেশীয় প্রধান উপাধি পাওয়াতে আমার সন্ধির নিয়মগুলি আরও অপমান স্থচক বোধ হইতে লাগিল । আমি নিয়ম অতিক্রম করিতে লাগিলাম, কিন্তু ইহা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে, যে রাজা আমাকে তজ্জন্য কিছুই বলিতেন না । কিছুদিন পরে আমা হইতে রাজার একটি মহৎ উপকার হুইয়াছিল। একদিন রাত্র দ্বিপ্রহরের সময়ে আমি যখন নিদ্রাগত ছিলাম, ছটাৎ এক মহৎ কোলাহলে আমার নিদ্রা ভঙ্গ হইল। শুনিলাম, যে শত শত লোক আমার দ্বারে আঘাত করিতেছে ও * কুমার কুমার ” ( অগ্নি ) বলিয়া চীৎকার করিতেছে । আমি প্রথমে ভীত হইয়াছিলাম; কিন্তু পরক্ষণেই কতকগুলি প্রধান প্রধান রাজকর্ম্মচারী, জনতা ঠেলিয়া আমার নিকট আসিয়া কছিল, “মহাশয় শীঘ্রে আসুন, মহাশয় শীঘ্রে আমুন রাজবাটীতে অগ্নি লাগিয়াছে।” রাণীর একজন সহচরী পুস্তক পাঠ করিতে করিতে নিদ্রিত হইয়াছিল, তথাকার দীপের অগ্নি লাগিয়া রাজবাটী প্রজ্জ্বলিত হইয়া উঠিয়াছে। আমি দ্রুতবেগে গমন করিয়া রাজবাটীতে উপস্থিত হইলাম ; দেখিলাম যে রাজবাট জ্বলিতেছে, দুঃখীলো
পাতা:অপূর্ব্ব দেশভ্রমণ - প্রথম ভাগ.pdf/৬৪
অবয়ব