অবাকৃপুরদর্শন। سrb) কেরা কলসী কলসী করিয়া জল অনিয়া ঢালিয়া দিতেছে কিন্তু কিছুই হইতেছে না। আমি প্রথমে তাছাদের নিকট হইতে কলসী লইয়া জল ঢালিতে লাগিলাম, কিন্তু কিছুই ছইল না । তখন অন্য কোন উপায় ভাবিতেছি ইত্যবসরে আমার প্রস্রাবের পীড়া উপস্থিত হইল । আমি তৎক্ষণাৎ উপস্থিত বুদ্ধিমত অগ্নির উপর মুত্রত্যাগ করতে লাগিলাম। এক মূহুর্ভের মধ্যেই সমুদায় অগ্নি নির্ব্বাণ হইয়। গেল। আর কিঞ্চিং বিলম্ব হইলেই রাজবাটী ভস্মীভূত হইয়া যাইত। পাঠক মহাশয় আমার এরূপ নিস্তৃর্ণ ব্যবহারে বিরক্ত হইবেন না কিম্বা ঘৃণায় নাসিকা সিকায় তুলিবেন না ; এরূপ উপস্থিত উপায় অবলম্বন না করিলে রাজবাটা কখনই রক্ষা হইত না । রাজবাটী রক্ষণ হইল ; যে সকল গৃহ বহুদিনে ও বহু যত্বে নির্ম্মাণ হইয়াছিল তাছা অগ্নি হইতে রক্ষা পাইল । প্রভাতে আমি রাজার সহিত সাক্ষাৎ না করিয়াই গৃছে প্রত্যাগমন করিলাম। যদিও আমি জানিতেছি যে রাজবাটী রক্ষা করাতে একটি মহৎ উপকারের কার্য্য করিয়াছি তথাপি প্রস্রাবদ্বারা ঐ কার্য্য সমাধা করাতে আমার ভয় হইতে লাগিল, যে সম্রাট হয়ত আমার কঠিন দণ্ড বিধান করিবেন । শীঘ্রই রাজার নিকট হইতে সম্বাদ আসিল, যে তিনি রাজসভায় আমাকে ক্ষমা করিবার অনুরোধ করিয়াছেন। কিন্তু আমি গুপ্তভাবে শুনিলাম যে রাণী
পাতা:অপূর্ব্ব দেশভ্রমণ - প্রথম ভাগ.pdf/৬৫
অবয়ব