সপ্তম আধ্যায় । % ጫ করিলেন । তিনি কহিলেন যাহাতে প্রাণহানি না হয় এরূপ শাস্তি বিধান করা কর্ত্তব্য । ইছাতে সম্রাট পরম কাৰুণিক বলিয়া চতুর্দিকে মহা মুখ্যাতি উঠিল। পরে সম্রাট তাহার প্রধান মন্ত্রীকে ডাকাইয়া এবিষয়ে যুক্তি বিধানের কথা জিজ্ঞাসা করিলেন । মন্ত্রী আপনার স্বপক্ষে অনেক বলিয়াছিলেন । অবশেষে তিনি সিদ্ধান্তু করিলেন, যে আপনার চক্ষু উৎপাটন করাই শ্রেয়ঃ তাহ হইলে সমুচিত শাস্তি বিধান হইবে । ইহাতে আপনার বিপক্ষেরা অসম্মতি প্রকাশ করিলেন। র্তাহারা বলিলেন, এতদূর বিশ্বাসঘাতকের প্রাণদণ্ড না হইয়া কিরূপে অপর দণ্ডের বিধি হইতে পারে, এস্থলে প্রাণদণ্ডই সমুচিত দণ্ড । সম্রাট তথাপি ইহার অনুমোদন করিলেন না, তিনি শেষ সিদ্ধান্ত করিলেন যে চক্ষু উৎপাটন করাই শ্রেয়ঃ । প্রথমতঃ চক্ষুদ্বর উৎপাটিত হউক, পরে ক্রমে ক্রমে গুপ্তভাৰে অণহার কমাইয়া দিলে আপনিই জীর্ণ শীর্ণ হইয়া প্রাণত্যাগ করিবে ; তাছা হইলে তাহার মৃতদেহ পচিয়া দেশের ততদূর অস্থিতকারী হুইবে না । এইরূপে মৃত্যু হইলে তৎক্ষণাৎ ৫। ৬ হাজার লোক শবের মাংস কাটিতে নিযুক্ত হইবে এবং তাহা বহুদূরে লইয়া গিয়া কবর দেওয়া হইবে, তাছা হইলে দুর্গন্ধে দেশের কোন হানি হুইবে না । তাহার কঙ্কাল দেশের একটি আশ্চর্য্যের স্বরূপ থাকিবে । এইরূপ দণ্ড নিৰ্দ্ধারিত হইল ।
পাতা:অপূর্ব্ব দেশভ্রমণ - প্রথম ভাগ.pdf/৮৪
অবয়ব