পাতা:অবতার.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నీశి অবতার টিপিয়া ধরিয়াছে। লোহিতবর্ণ অগ্নিশিখা যেন তাহার চক্ষের চারিধারে তরঙ্গিত হইতে লাগিল। এই রূপসী তাহাকে মুগ্ধ করিয়াছে। এই আত্মহারা ভাব, এই মৃঢ়তার ভাব কোন প্রত্যাখ্যাত প্রণয়ীর পক্ষেই সাজে, কিন্তু কোন স্বামীর পক্ষে নিতান্তই হাস্ত্যজনক—এই মনে করিয়া কৌন্ট-দেহ অক্টেভ সাহস করিয়া দৃঢ়পদক্ষেপে কোণ্টেসের অভিমুখে অগ্রসর হইল। দাসীরা তখন তাহার বেণী রচনা করিতেছিল ; তাই কৌন্টেস মুখ না ফিরাইয়া বলিলেন, “আঃ! তুমি ওলাফ ! কি দেরী করেই এসেছ আজ ।” তারপর, বহিরাবরণ বস্ত্রের ভাজ হইতে তার সুন্দর একটি হাত বাহির করিয়া, অক্টেভের দিকে বাড়াইয়া দিলেন । কৌণ্ট-দেহ অক্টেভ কুসুম-কোমল এই হাতখানি লইয়া জলন্ত আগ্রহের সহিত দীর্ঘ টানে চুম্বন করিল—যেন তাহার সমস্ত অন্তঃকরণ তাহার ওষ্ঠাধরে আসিয়া তখন কেন্দ্রীভূত হইয়াছিল। আমরা জানিনা, কি এক সূক্ষ্ম বোধশক্তি হইতে, কি এক স্বৰ্গীয় লজ্জাশীলতা হইতে, হৃদয়ের কি এক যুক্তিহীন যুক্তি হইতে, কৌন্টেস যেন পূর্ব্ব হইতেই সমস্ত ব্যাপার জানিতে পারিয়াছিলেন ; লোহিতবর্ণ উচ্চ গিরিশিখরস্থ তুষাররাশি উষার প্রথম চুম্বনে যেরূপ হয়, সেইরূপ তাহার মুখ, তাহার কণ্ঠ, তাহার বাহু সহসা রক্তিম রাগে রঞ্জিত হইল। অৰ্দ্ধ অভিমানের ভাবে, অৰ্দ্ধলজ্জার ভাবে, কাপিতে কাপিতে তাহার হাতখানি ধীরে ধীরে সরাইয়া লইলেন। অক্টেভের ওষ্ঠাধর স্পর্শে তাহার মনে হইল, র্তাহার হাতের উপর কে যেন অগ্নি-তপ্ত লোহার ছ্যাক দিল । তথাপি তিনি চিত্তকে সংযত করিয়া, তার সেই শিশুবং মধুর হাসিটি মুখে আনিলেন । “ওলাফ, ভূমি কোন উত্তর দিচ্চ না কেন ? আমি যে ছয় ঘন্টার উপরেও তোমাকে আজ দেখতে পাইনি।” পরে ভৎসনা-স্বরে