পাতা:অবতার.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ఫి: সঙ্গে চলিল। কোণ্টেল দরজার কাছে আসিয়| আবার ফিরিলেন। মুহূর্ত্তের জন্ত থামিলেন। তারপর প্রস্তর-মূর্ত্তির মত সাদা ও শীতলকায় কোণ্টেল, ঐ যুবকের প্রতি ভীতি-বিস্ফারিত কটাক্ষ নিক্ষেপ করিয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলেন, এবং বাপ করিয়া দরজাটা বন্ধ করিয়া, গিল লাগ ইয়া দিলেন । “ও যে অক্টেভের দৃষ্ট !” এই কথা বলিয়া অৰ্দ্ধ-মূৰ্ছিত হইয়া একটা কোঁচের উপর গুইরা পড়িলেন । চৈতন্য ফিরিয়া আসিলে মনে-মনে এলিলেন –আচ্ছ, এ কেমন করে’ হ’ল, সেই দৃষ্টি—যে দৃষ্টির ভাবট আমি কখনই ভুলব না—সেই দৃষ্টি ওলাফের চোখে কেন আজ রাত্রে :দথতে পেলাম ?” সেই বিষণ্ণ হতাশ হৃদয়ের অগ্নিশিখা আমার স্বামার চোগের উপর জলে উঠল কি করে ? অক্টেভের কি মৃত্যু গেছে ? আমার কাছে চিরবিদায় নেবার জন্য তার আস্থা কি মুস্তম্ভের জন্য আমার সম্মুখে দপ, করে একবার জলে উঠল । ওলাফ ; ওলাফ ! যদি আমি ভুল করে থাকি, যদি পাগলের মত মিথ্যা ভয়ে আকুল হয়ে থাকি, তবে আমাকে তুমি ক্ষম কর। কিন্তু দেখ, যদি আমি আজ রাত্রে তোমাকে অলিঙ্গন করতাম, তাহলে আমাক মনে ক’ত আমি আর একজনকে আলিঙ্গন করচি ” থিলটা ভাল করিয়া লাগানো হইয়াছে কিনা,- দৃঢ়নিশ্চয় হইয়া, মাথার উপর যে লণ্ঠন ঝুলিতেছিল, সেই লণ্ঠনটা জালাইয়া, কোন্টেস ভাত শিশুর মত গুড়ি-মুড়ি মারিয়া বিছানায় গুইয়া পড়িলেন। কি এক অনির্দেশু বেদন তার বুকে চাপিয়া বুহিল । সমস্ত রাত্রি নিদ্রা হষ্টল না। ভোরের দিকে ঘুমাইয়া পড়িলেন। কত অসংলগ্ন অদ্ভুত স্বপ্ন আসিয়া তার গভীর নিদ্রায় ব্যাঘাত করিল । আগুনের মত জলন্ত সেই অক্টেভের চোথ—কুয়াসার ভিতর হইতে-তাহার উপর একদৃষ্টে চাঙ্গি