পাতা:অবতার.djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ناهج —“দেখুন, কৌন্টেস, আমি অনেক ভ্রমণ করেছি, অনেক কষ্ট সহ করেছি, এমন কি পীড়িতও হয়েছিলাম—আপনার সদয় নিমন্ত্রণ-পত্র পেয়ে মনে করলাম, এই স্বযোগ ছাড়ব কি না। কিন্তু আমার একটু আশঙ্কাও হ’ল, পাছে স্বার্থপর বলে আমার মত উদাসচিত্ত ব্যক্তি আপনার নিকট গিয়ে আপনার অনুগ্রহের অপব্যবহার করে।” কোণ্টেস উত্তর করিলেন – —“উদাসচিত্ত ? হতে পারে। না, নী, উদাসচিত্ত নয়। তুমি তখন বিষাদ-রোগগ্রস্ত ছিলে। কিন্তু তোমাদের একজন কবি এই কথ বলেন নি কি ? :– “আলস্তের পরে ইহাই সব-চেয়ে মারাত্মক ব্যাধি ।” অক্টেভ-দেহধারী কৌন্ট বলিলেন – “অন্তের দুঃখকষ্টে পাছে মমতা করতে হয় এইজন্তই সুখী লোকের এই গুজব রটিয়েছে।” কোণ্টেস অনিচ্ছাক্রমে তার মনে যে প্রেমের উদ্রেক করিয়াছিলেন, তজ্জন্ত যেন ক্ষমা চাহিতেছেন—এইভাবে কৌন্টেস অক্টেভ-দেহধারী কৌন্টের উপর একটি অতীব মধুর দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। তারপর বলিলেন – “তুমি যে রকম মনে কর, আমি ততটা মমতা-শূন্ত লঘুচিত্ত নই। প্রকৃত দুঃখ দেখলে আমার দয়া হয়, আর সে দুঃখকষ্টের লাঘব না করতে পারলেও অন্তত তার জন্য সমবেদন দেখাতে পারি। দেখ অক্টেভ, তুমি সুখী হও—এই ইচ্ছা আমি করতে পারতাম ; কিন্তু কেন বল দেখি, তুমি নিজের বিষন্নতার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে একওয়ের মত জীবনের সমস্ত মুখ, জীবনের সমস্ত মাধুর্য, জীবনের সমস্ত কর্ত্তব্য বিসর্জন দিলে ও আমার বন্ধুত্বই বা কেন তুমি প্রত্যাখ্যান করলে?”