পাতা:অবতার.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઝરના অবতার আছেন। শৈবাল-গৃহের পাশ্বদেশের স্ফটিকের চৌকা শাশিগুলা একটু উপরে উঠাইয়া দেওয়া হইয়াছে, তাহার মধ্য দিয়া কবোঞ্চ জ্যোতির্ম্ময় বায়ু প্রবেশ করিতেছে—শৈবাল-গৃহের মধ্যস্থল বিদেশী ও গ্রীষ্মমণ্ডলের উদ্ভিজ্জে আচ্ছন্ন হইয়া যেন অরণ্যে পরিণত হইয়াছে। কোণ্টেস, নোভালিসের গ্রন্থ পাঠ করিতে ছিলেন। যে সকল জর্ম্মাণ গ্রন্থকার প্রেতাত্মবাদ সম্বন্ধে অতীব স্বক্ষ, অতীন্দ্রিয় তত্ত্বের আলোচনা করিয়াছেন, তন্মধ্যে নোভালিস একজন। যে সকল গ্রন্থে খুব গাঢ় রং ঢালিয়া বাস্তব জীবন চিত্রিত হইয়াছে, কোণ্টেস সেই সব গ্রন্থ পড়িতে ভাল বাসিতেন না । সৌধীনতা, প্রেম ও কবিতার জগতে চিরদিন বাস করিয়া আসায় জীবনটা তার একটু স্থল বলিয়া মনে হইত। তিনি পুস্তকটা ফেলিয়া দিয়া আস্তে আস্তে চোখ তুলিয়া কেন্টের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। কোণ্টেস ভয় পাইতে ছিলেন, পাছে এখনে তাহার স্বামীর কালো চোখের তারার মধ্যে সেই আগ্রহপূর্ণ, গুহাভাবে ভরা, ঝোড়ো-রকমের দৃষ্টি দেখিতে পান, যাহা দেখিয়া ইতিপূর্ব্বে তার খুবই কষ্ট হইয়াছিল—এমন কি যা দেখিয়া ( এটা মনে করা নিতান্ত আজগুবি যদিও ) আর একজনের দৃষ্টি বলিয়া মনে হইয়াছিল! ওলাফের নেত্র হইতে একটা প্রশাস্ত আনন্দ ফুটিয়া বাহির হইতেছিল, এবং সেই চোখে একটা বিশুদ্ধ নির্ম্মল প্রেমের আগুন ধিকি ধিকি জলিতেছিল। যে অপরিচিত আত্মা তার মুখের ভাব বদলাইয়া দিয়া ছিল, সেই আত্মা এখন চিরকালের মত অন্তৰ্হিত হইয়াছে ; প্রাস্কোভি এখন তার হৃদয়ের আরাধ্য প্রিয়তমকে চিনিতে পারিলেন এবং তখনি র্তাহার স্বচ্ছ কপোলে একটা সুখের লালিমা ফুটিয়া উঠিল ; যদিও ডাক্তার শেরবোনো-কৃত রূপান্তরের ব্যাপারটা তিনি জানিতেন না, তথাপি এক প্রকার অন্তগুঢ় ক্ষে অনুভূতি হইতে এই সকল পরিবর্তন তিনি