পাতা:অবতার.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ২৯ দৃঢ় পেশীজাল তাহার মধ্যে প্রচ্ছন্ন। কোন রাজ-রাজড়ার বড় মজলিসে কেন্ট যখন হীরক-খচিত জমকালে জরির পোষাক পরিয়া আসিতেন, তখন তত্রত্য পুরুষদিগের ঈর্ষ হইত ও রমণীগণের হৃদয়ে প্রেমের আগুন জলিয়া উঠিত। কিন্তু প্রাস্কোভি তৎপ্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন। তাব যেরূপ রূপ ছিল, তেমনি আবার মানসিক গুণও যথেষ্ট ছিল । & বুঝিতেই পারিতেছ, এরূপ প্রতিদ্বন্দ্বার বিরুদ্ধে অক্টেভের সাফল্যের প্রায় কোন সম্ভাবনাই ছিল না । এবং পাগলা ডাক্তার বালথাজার শেরবোনো যতই আশ্বাস দিন না কেন, স্বকীয় পালঙ্কে পড়িয়া থাকিয়া শান্তভাবে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করা ভিন্ন অক্টেভের আর কোন উপায় ছিল ন: । প্রাস্কোভিকে বিস্মৃত হওয়াই একমাত্র উপায়, কিন্তু তাহা অসম্ভব । ক্টার সহিত আবার সাক্ষাৎ করায় কি ল| ? অক্টেভ মনে মনে অনুভব করিত, এই রমণীর হৃদয় কোমল তইলেও বেরূপ অটল, তাহাতে র্তার সঙ্কল্পের দৃঢ়তা কখনই শিথিল হইবে না ; নিতান্ত আবেগহীন ঔদাসীন্য প্রকাশ করিয়া আমাকে কেবল একটু কৃপাদৃষ্টিতে দেখিবেন এইমাত্র । অক্টেভের ভয় হইতেছিল পাছে যে ক্ষতের চিহ্ন এখনো বিলুপ্ত হয় নাই, সেই ক্ষতের মুখ আবার ফাটিয়া নূতন করিয়া বাহির হয় এবং পাছে সেই নিদোষ হত্যাকারিণীর চরণ-তলে তাহার রক্তাক্ত হৃদয় আবার লুষ্ঠিত হয় । কিন্তু অক্টেভ তাহার ভালবাসার ধন ঐ মধুর হত্যাকারিণীর উপর তত্যার অভিযোগ আনিতে ইচ্ছুক ছিল না ।