পাতা:অবতার.djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার 8ፃ টেরও পেত না। আমি তা করলাম না, কেন না, আমি এখনো সৃষ্টি করতে পারি নে। এ বিষয়ে মানুষ টিকৃটিকি হতেও অধম, মানুষের এতটা শক্তিবিশিষ্ট জীবন-রস নেই যে কাটা অঙ্গ আবার নতুন করে গড়ে তুলতে পারে। আমি স্থষ্টি করতে পারিনে বটে, কিন্তু আমি নবযৌবন এনে দিতে পারি।” এই কথা বলিয়া তিনি এক বৃদ্ধা রমণীর অবগুণ্ঠন উঠাইয়া লইলেন ; কালে মার্ব্বেল টেবিলের অনতিদূরে, সেই বৃদ্ধ এক আরাম-কেদারায় চৌম্বক নিদ্রায় নিদ্রিত ছিল ; তাহার মুখশ্রী, মনে হয়, এক সময়ে সুন্দর ছিল, এখন শুষ্ক স্নান হইয়া গিয়াছে, এবং র্তাহার বাহুর, তাহার স্কন্ধের, তাহার বক্ষের শীর্ণ গঠনের উপর কালের উপদ্রব স্পষ্ট লক্ষিত হয়। ডাক্তার স্বীয় নীল তারার প্রখর স্থির দৃষ্টি খুব আগ্রহের সহিত, কয়েক মিনিট ধরিয়া তাহার উপর নিবদ্ধ করিলেন ; ক্ষীণরেখাগুলি আবার পূর্ববৎ সরল হইয়া উঠিল ; কুমারী-সুলভ বক্ষের সুগোলগঠন আবার ফিরিয়া আসিল । কণ্ঠের শীর্ণত আবার শুভ্রবর্ণ সাটিনআভ মাংসে ভরিয়া গেল। গাল বেশ মুগোল হইল, এবং পিচ ফলের ন্তায় ঈষৎ গোল ও পেলব হইয় যৌবনের তাজাভাব ধারণ করিল ; উন্মীলিত নেত্রযুগল, একপ্রকার সজীব তরল রসে ভরিয়া গিয়া ঝিকৃমিক্‌ করিতে লাগিল । যেন যাদুমন্ত্রে বাদ্ধক্যের মুখসটা খসিয়া গেল, এবং বহুকাল-অন্তৰ্হিত সেই সুন্দরী যুবতীকে আবার দেখিতে পাওয়া গেল । এই রূপান্তর-দর্শনে কেণ্টি হতবুদ্ধি হইয়া পড়িয়াছিলেন ; ডাক্তার তাহাকে বলিলেন :– “আপনি কি বিশ্বাস করেন, এই স্থল যৌবনের উৎস হইতে নিঃস্বত অলৌকিক জল-ধারার কতকটা জলে এই রূপান্তর ঘটিয়াছে ? আমি বিশ্বাস করি, কেননা, মামুৰ নূতন কিছুই উদ্ভাবন করতে পারে না ; মানুষের প্রত্যেক স্বপ্নই একটা ভবিষ্যৎ দর্শন কিংবা একটা অতীতের