পাতা:অবতার.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

68 অবতার মুহূর্তের জন্যও রহিত হয় নাই । তিনি দুই হাত বাড়াইয়া সেই হাত হইতে প্রদীপ্ত রশ্মিচ্ছটা নিক্ষেপ করিতেছিলেন—সেই রশ্মিচ্ছটা সম্মোহিত ব্যক্তির কপালে ও বক্ষে গিয়া লাগিতেছিল। ক্রমে তাহার চারিধার রশ্মি-মণ্ডলের ন্তায় একটা দৃগুমান ফসফরস-গভিত বায়ুমণ্ডল গড়িয়া •উঠিল। আপনার কাজের জন্য আপনাকে আপনি বাহবা দিয়া ডাক্তার শেরবোনো বলিয়া উঠিলেন—বেশ বেশ! খুব ভাল! তারপর একটু থামিয়া যখন দেখিলেন, ব্যক্তিত্বের জ্ঞান একেবারে লোপ পাইবার পূর্ব্বে ব্যক্তিত্ব-জ্ঞান বজায় রাখিবার জন্ত অক্টেভের মাথার ভিতর তখনও খুব একটা চেষ্টা চলচে, তখন তিনি বলিলেন, “দেখ যাকৃ, দেখা যাক্—কে আমার মন্ত্রের প্রতিরোধ করতে পারে । মস্তিষ্ক-পাকের মধ্যে তাড়িত হয়ে, না জানি কোন বিদ্রোহী মনোভাব আদিম পরমাণুর উপর, জীবনের কেন্দ্র-বিন্দুর উপর জমা হয়ে আমার প্রভাবকে এড়াবার চেষ্টা করচে। আমি নিশ্চয়ই তা’কে পাকড়াও করতে পারব, তাকে কাবু করতে পারব।” এই অনিচ্ছাকৃত বিদ্রোহ দমন করিবার জন্য ডাক্তার তার দৃষ্টির ‘ম্যাগনেটিক্‌ ব্যাটারি’তে আরও বেশি শক্তি সঞ্চালিত করিলেন এবং সেই বিদ্রোহী চিন্তাটাকে উপমস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের মজ্জা—এই দুইয়ের মধ্যবর্ত্তা স্থানে লইয়া আসিলেন—যে স্থানটি আত্মার গুপ্ততম পবিত্র স্থান, রহস্যময় দেব-নিকেতন । তিনি সম্পূর্ণরূপে জয়লাভ করিলেন। তখন তিনি মহা গাম্ভীর্য্য 'नश्कारब এক অশ্রুতপূর্ব্ব পরীক্ষা-কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন। তিনি ঐন্দ্রজালিকের ন্তায় এক শণ-নির্ম্মিত পোষাক • পরিধান করিলেন, একুটা স্বরভিত জলে হস্ত প্রক্ষালন করিলেন ; বিভিন্ন বাক্স হইতে কতকগুলা গুড়া লইয়া গাল ও কপাল, চিত্রিত করিলেন,