পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালের হাওয়া আগুনে-ঝলসানো রক্তমাখা একটি ছেড়া পালক আস্তে আস্তে উড়িয়ে নিয়ে চলল, বনের পথে হুহু করে কেঁদে । . হঠাৎ ওদিকের ঝোপঝাপগুলো মাড়িয়ে হোস ফেঁস করে হাপাতে হাপাতে জিন্ম হাজির। কুঁকড়ো তাকে দেখে বললেন, জিম্ম, তুমি এখানে যে। শিকার পৌছে দিতে না কি ? জিন্ম ঘাড় ষ্ট্রেট করে বললে, ‘এরা যে জোর করে আমায় শিকারে নিয়ে এল...’ কুঁকড়ে এতক্ষণ স্বপনপাখিটিকে আড়াল করে আগলে ছিলেন, এবার সরে দাড়িয়ে বললেন, ‘চেয়ে দেখো কাকে তারা মেরেছে।’ জিম্মী ঘাড় নেড়ে বললে, ‘আহা যে গাছটি সুরে ভরা দেখবে, সেই গাছেই কি আগে গুলি চালাবে রাক্ষসগুলো । আমি আবার এদের হুকুম মানব –বলে জিন্ম ঘুরে বসল। তার পর, মাটির মধ্যে সব কারা চলাফেরা করতে লাগল, আর দেখতে দেখতে স্বপনপাখিকে পৃথিবী যেন কোলের মধ্যে আস্তে আস্তে টেনে নিতে লাগলেন । "দুরে শিকারীদের সিটি পড়ল। জিন্ম কুঁকড়োকে চট্‌পট্‌ গোলাবাড়িতে ফিরে যেতে বলে দৌড়ে চলে গেল শিকারীদের দিকে। এদিকে সোনালি কেবল দেখছিল কখন সকাল হয়। তার ভয় হচ্ছিল বুঝি কুঁকড়ে এইবার আকাশে চেয়ে দেখেন। কিন্তু কুঁকড়ে যেমন মাথা হেঁট করে স্বপনপাখির জন্যে কাদছিলেন, সেই ভাবেই রইলেন। সোনালি আস্তে আস্তে র্তার কাছে গিয়ে বললে, ‘এসো, আমার বুকে মুখ লুকিয়ে কাদো। কুঁকড়ে নিশ্বাস ফেলে সোনালির কাছে সরে গেলেন, সে ডানায় তাকে ঢেকে নিলে । তার পর সেই সোনার ডানার মধ্যে চেকে সোনালি কত ভালোবাসাই জানাতে লাগল, কক্ত মিষ্টি কথা, কত মিনতি, কত ছল। আর ওদিকে সকাল হতে থাকল, অন্ধকার ফিকে হয়ে এল, সব জিনিস স্পষ্ট হতে থাকল, কিন্তু তখনো সোনালি বলছে, ‘দেখছ আমি তোমায় কী ভালোবাসি।” তার পর হঠাৎ এক সময় ড়ানা সরিয়ে নিয়ে সোনালি >br