পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে উঠল পালক ঝাড় দিয়ে, দেখেছ, কেমন• সকাল এসেছে, তুমি না ডাকতেই।’ কুঁকড়ো চমকে আকাশে চাইলেন। তার পর বুক ফেটে তার এমন স্বর উঠল যে তেমন কান্না কোনোনি কেউ শোনে নি। তিনি যেন পাষাণের মতো স্থির হয়ে গেলেন ; আর চোখের সামনে র্তার সকালের আলো মেঘে আকাশে গাছে ছড়িয়ে পড়তে থাকল। সোনালি নিষ্ঠুরের মত বললে, শেওলাগুলো রাঙা হয়ে উঠল বলে ? না, কখনো না ’ বলে সেদিকে কুঁকড়ে ছুটে যাবেন, দেখতে দেখতে পাথরের গায়ে শেওলার উপরে সকালের আভা পড়ল আর সেগুলো আগুনের মতো লাল হয়ে গেল। সোনালি বললে, ওই দেখো পূর্বদিকে। কুঁকড়ে না’ বলে যেমন সেদিকে চাইলেন, আমনি সোনায় আকাশ ভরে উঠল । এ কী । এ কী ? —বলে কুঁকড়ে চোখ ঢাকলেন। সোনালি বললে, পূর্বদিক কারু হুকুম মানে না, দেখলে তো ? কুঁকড়ে ঘাড় হেঁট করে বললেন, ‘সত্যিই বলেছ। মন সেও হুকুম মানে, কিন্তু পুবদিক, সে কারু নয়। আজ আমি বুঝেছি কেউ কারু নয়।’ এই সময় জিন্মা ছুটতে ছুটতে এলে বললে, ‘গোল ড়িতে সবাই চাচ্ছে তোমাকে ৷ পাহাড়তলি আর অন্ধকার করে রেখে না।’ কুঁকড়ে জিন্মাকে বললেন, ‘হয়, এখনো তারা আমাকে আলোর জন্তে চাচ্ছে ? আলো দেব আমি, এ কথা এখনো তারা বিশ্বাস করছে। জিন্ম অবাক হয়ে রইল। কুঁকড়ে এ কী বলছেন। তার চোখে জল এল। সোনালি এবার সব অভিমান ছেড়ে ছুটে কুঁকড়োর কাছে গিয়ে বললে, ‘আকাশ আর আলো দুটোই কি আমার এই বুকের ভালোবাসার চেলে বড়ো ? দেখে ওরা তো তোমায় চায় না, আর আমার বুক তোমায় চাচ্ছে।’ কুঁকড়ো ভাঙা গলায় বললেন 'হ, ঠিক।’ সোনালি বলে চলল, *আর অন্ধকার, সে কি আর অন্ধকার থাকে, যদি ছটি প্রাণের ఫిసి