পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হতে আরম্ভ হল, চারি দিকে পাখিরা গেয়ে উঠল, আকাশ ক্রমে নীল হতে থাকল, বনের ঘুম আস্তে আস্তে ভাঙতে লাগল । সোনালি মাটিতে মাথা মুইয়ে বললে, ‘আলোর অপমান, আলোর দূতের অপমান আর আমি করব না। হে আলোর আলো, আমায় ক্ষমা করে, তাকে বাঁচাও ’ ‘হম’ ক’রে ওধারে বন্দুক ছুটল, রনের সমস্তটা যেন রী-রী করে শিউরে উঠল, তার পর কুঁকড়োর সাড়া এল, ‘আলোর ফুলকি ? ‘তাগ ফসকেছে। গুলি ফসকেছে –পেচাটা কেঁদে উঠল । আর অমনি দিকে দিকে পাখি সব ‘জয় জীব। জয় জীব ।’ বলে কুঁকড়োর জয় দিয়ে উঠল। কোকিল উলু উলু দিয়ে বলতে লাগল, *শুভদিন এল —শুভদিন ? দেখতে দেখতে চারি দিক আলোময় হয়ে উঠল । সেই সময় বনের মধ্যে পায়ের শব্দ উঠল । সোনালি চোখ বুজে চুপ করে শুনতে লাগল, পায়ের ধ্বনি আস্তে আস্তে তালে তালে পড়ছে এক, দুই, তিন । কার ঠাণ্ডা হাতের যেন পরশ পেয়ে সোনালি চোখ খুলে দেখলে, পলাতক কুঁকড়োকে বুকের কাছে ধ’রে কুঁকড়োর মনিব । সোনালি পালাবার চেষ্টাও করলে না ; কুঁকড়োর পাশে গেরেপ্তার হয়ে গোলাবাড়িতে চলল। বসন্ত বাউরি পাহাড়তলি মাতিয়ে সুর ধরলে, ‘কথা কও, বউ কথা কও, কোথা যাও । বউ কোথা যাও । কথা কও, বউ কথা কও ” So 8