পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঙুটি পাণ্ডটি মনিবের খাতাঞ্চিমশায় হিসেব লিখছেন, গোলাবাড়ির কোন কোণে কী জমা হল, কোন ঘরে কী খরচ হল। কাজেই নামে গোলাবাড়ি হলেও সেখানে কেউ যে দে টপাটপ নে টপাটপ ভাবনা কিছু নেই বলে বেহিসাবি কাণ্ড করে হিসেব গোল করবে, তার জো-টি নেই। :খাতাঞ্চিমশায় অমনি খাতায় তোমার নামে হাওলাত টানলেন, আর আমনি মাসের শেষে তোমার মাইনের টাকা কখনো চার আনা কখনো পাচ সিকে এমন কী পুরো পাঁচ টাকাই কমে গেল ! কুচারটে রসগোল্লা বেশি খেয়ে ফেললে মাইনের টাকা কেন যে কমে যাবে, এটা সোনাতোন ছোড়া গোলাবাড়িতে চুল পাকিয়েও বুঝতে পারলে না । কাজেই এদানিং সে খাতাঞ্চির দোয়াতদানিরই কাছ থেকে কেবলি হাওলাত নিয়ে চলেছে, মাইনের আশা একেবাে করে না । 驚 সেদিন খাতাঞ্চির জমাখরচের ঘরের বাইরে জানলার ধারে ফাগুন মাসের কেী-গাছের মেী লুট করে মৌমাছিটা গুন-গুন করে কেবলি বাজে বকে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বৌঠাকরুনের প্রথম সোনা মেয়েটি জন্মেই শুধু শুধু কেবলি দুধ খাবার, কাপড় পরবার, দাত ওঠাবার, কান বিধোবার, ওষুধ খাবার, খেলাঘল পাতবার, শ্বশুরবাড়ি যাবার, আবার গগে পুজোয় বাপেরবাড়ি আসবার, এমনি নানা ছুতোয় কান্না শুরু করে দিলে যে সোনাতোনের আর হাসি ধরে না । সে খাতাঞ্চিমশায়ের কাছে ছুটে এসে বললে, কর্তার মেয়ে হল, এবার বকশিশ চাই ।” খাতাঞ্চি তাকে ধমকে বললেন, বাজে বকচিস ফের ? তারপর সোনাতোনের হাতে একটি আধলা পয়সা দিয়ে খরচের ঘরে খাতায় লিখলেন —প্রথম কন্যার. জন্মোপলক্ষে বকশিশ বাবদ বাজে খরচ So a