পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখ রগড়াতে লাগল। খাতাঞ্চি বললেন, ‘সোনাতোন, বেড়াল পুষবে তুমি আর দুধ খাওয়াব আমি ? সোনাতোন মাথা চুলকে বললে, তা তো হতে পারে না কর্তা ' খাতাঞ্চি গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘বেড়াল তবে যে আমার ঘরে গেল।’ সোনাতোন কী জবাব দেবে ভাবছুে এমন সময় তাড়াতাড়ি সোন। বলে উঠল, “বাবা, আমি জানি বেড়ালবোঁ কেন তোমার ঘরে গেছে। সোনাতোনের এ বছরের মাইনে আদায় করতে ? খাতাঞ্চি সে কথায় কান দিচ্ছেন না দেখে সোনার মা বললেন, "ওগো শুনছ, তোমার মেয়ে কী বলছে।’ খাতাঞ্চি গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘সব কথাতেই টিক-টিক কর কেন বল তো ? ওরে সোনাতোন, যা ঘরের দরজাটা খুলে দে। আমি চকোক্তিদের ওখানে চললুম। ঘর খুলে দেখা গেল বেড়ালবোঁ কোথায় পালিয়েছে, বোহিম তার গলার ঘুঙুরটা দাতে চিবোচ্ছে আর দোয়াতের সমস্ত কালি উল্টে রায়মশায়ের হিসেবের খাতার সাদা পাতাগুলো সব কালো হয়ে গেছে । সেইদিন কর্তা আসবার আগেই সোনাতোন বৌঠাকরুনের কাছে ছুটি নিয়ে দু-চার দিনের জন্য দেশে পলাল। সোন তান অনেকদিন দেশে যায়নি, কাজেই তার ফিরতে দেরি হতে লাগল। এদিকে রায়মশায় বললেন, “ওই কুকুরটাই আমার দোয়াত ফেলেছে ; ওকে চোতমাস গেলেই জবাব দিতে হবে।’ সোনা আর সোনার মা আর আঙটি পাণ্ডটি এই শুনে ভারি মুষড়ে গেল। বেড়ালটা গিয়ে অবধি রাত্তিরে দরজায় কে খুট-খুট করছে, ধামায় মুড়ি থাকছে না, মোমবাতি না জ্বালালেও তার আধখান এক রাত্তিরে উড়ে যাচ্ছে, এমনি সব উৎপাত হচ্ছে সোনার মা একদিন এই কথা বলাতে, খাতাীি বললেন, ‘তোমার ওই এক কথা । গেছে উৎপাত চুকেছে।' কিন্তু সোনার মা দেখলেন বেড়াল যেদিন থেকে গেল সেইদিন থেকে ››ግ